তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে এপ্রিলিয়া আনল নতুন স্কুটার

Aprilia SR-GP Replica 175 Launched

প্রিমিয়াম স্কুটার সেগমেন্টে আবারও চমক দিল এপ্রিলিয়া। সংস্থা ভারতীয় বাজারে লঞ্চ করল নতুন স্কুটার। নাম – Aprilia SR-GP Replica 175। এটি আসলে জনপ্রিয় SR ১৭৫ মডেলেরই কসমেটিক্যালি আপগ্রেডেড ভার্সন। নতুন ভ্যারিয়েন্টটির এক্স-শোরুম দাম রাখা হয়েছে ১.২২ লাখ, যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় প্রায় ৩,০০০ টাকা বেশি।

Advertisements

Aprilia SR-GP Replica 175: ডিজাইন

SR-GP Replica নামের সঙ্গে মিল রেখে এই স্কুটারের বাহ্যিক নক্শা তৈরি হয়েছে এপ্রিলিয়ার MotoGP মোটরসাইকেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। বর্তমানে এই বাইক চালাচ্ছেন হোর্হে মার্টিন এবং মার্কো বেজ্জেকি। স্কুটারটির ম্যাট ব্ল্যাক বডি প্যানেল সাজানো হয়েছে লাল ও বেগুনি গ্রাফিক্স দিয়ে, যা দেখতে একেবারে GP বাইকের মতো।

   

এছাড়া ফ্রন্ট অ্যাপ্রন ও আন্ডার-সিট প্যানেলে দেওয়া হয়েছে এপ্রিলিয়ার ব্র্যান্ডিং ও টিম স্পনসরের লোগো। সামনের চাকার রিমে রয়েছে আকর্ষণীয় লাল স্ট্রাইপ। সব মিলিয়ে এর লুক একেবারে প্রিমিয়াম ও স্পোর্টি, যা স্কুটারপ্রেমীদের নজর কাড়বে।

ফিচার ও টেকনোলজি

ফিচারের দিক থেকে SR-GP Replica ১৭৫ মূলত স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টের মতোই। এতে ব্যবহার করা হয়েছে নতুন ৫.৫ ইঞ্চির কালার TFT ডিসপ্লে, যা পুরোনো LCD ইউনিটের জায়গা নিয়েছে। এপ্রিলিয়া ৪৫৭ টুইন্সের মতো এই স্ক্রিনেও ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি দেওয়া হয়েছে।

অন্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে অল-LED লাইটিং সেটআপ এবং USB চার্জিং পোর্ট, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে যথেষ্ট উপযোগী। এই সমস্ত আপগ্রেড স্কুটারটির প্রিমিয়াম ইমেজকে আরও জোরদার করেছে।

Advertisements

ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স

পারফরম্যান্সের দিক থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এতে রয়েছে ১৭৪.৭ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ১৩.০৮ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১৪.১৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। ইঞ্জিনটি CVT অটোমেটিক ট্রান্সমিশন এর সঙ্গে যুক্ত।

স্কুটারটিতে রয়েছে ১৪ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল, যা টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার মনোশকের সঙ্গে যুক্ত। ব্রেকিংয়ের দায়িত্বে সামনে রয়েছে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিঙ্গল-চ্যানেল ABS সিস্টেম।

প্রসঙ্গত, Aprilia SR-GP Replica 175 শুধুমাত্র একটি স্কুটার নয়, এটি মূলত এক ধরনের স্টাইল স্টেটমেন্ট। GP বাইকের অনুপ্রাণিত লুক, নতুন TFT ডিসপ্লে, অল-LED লাইটিং এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন — সব মিলিয়ে এটি নিঃসন্দেহে প্রিমিয়াম স্কুটার ক্রেতাদের নজরে আসবে। যদিও এর দাম স্ট্যান্ডার্ড মডেলের থেকে কিছুটা বেশি, তবুও অনন্য লুক এবং এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের কারণে বাজারে এর চাহিদা যথেষ্ট থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।