চোখ-ধাঁধানো ট্রান্সপারেন্ট ইলেক্ট্রিক স্কুটার বাজারে আসছে শীঘ্রই

বাইরে থেকেই দেখা যাবে স্কুটারের সব কলকব্জা,এমনই এক অভিনব ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনতে চলেছে ভারতীয় কোম্পানি আথার এনার্জি (Ather Energy)। চোখ-ধাঁধানো ট্রান্সপারেন্ট বডি প্যানেলের এমন ইলেক্ট্রিক…

বাইরে থেকেই দেখা যাবে স্কুটারের সব কলকব্জা,এমনই এক অভিনব ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনতে চলেছে ভারতীয় কোম্পানি আথার এনার্জি (Ather Energy)। চোখ-ধাঁধানো ট্রান্সপারেন্ট বডি প্যানেলের এমন ইলেক্ট্রিক স্কুটার এর আগে কখনও লঞ্চ হয়নি দেশে। মূলত ফোনের দুনিয়ায় এরকম ট্রান্সপারেন্ট বডির স্মার্টফোন এনে চমক দেই নাথিং ফোন। এই কোম্পানির স্মার্টফোনগুলোর বাইরে থেকেই তার সমস্ত যন্ত্রপাতি দেখা যায়। ঠিক সেরকমই পরিকল্পনা এবারে স্কুটারের ক্ষেত্রে নিয়েছে আথার এনার্জি। সংস্থাটির এমন অভিনব চিন্তাভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

মনে করা হচ্ছে ই-স্কুটারটিকে আথার সিরিজ-২ নামে লঞ্চ করা হবে। সম্প্রতি কোম্পানির সিইও তরুন মেহেতা তার এক্স হ্যান্ডেলে এই কন্সেপ্ট প্রথম সামনে আনেন। তিনি জানান এই বিদ্যুৎ-চালিত স্কুটারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হল তার ট্রান্সপারেন্ট বডি প্যানেল। এদিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের ইলেক্ট্রিক স্কুটারের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আথার এনার্জি। বৈদ্যুতিক স্কুটারকারক সংস্থা প্রস্তুতকারক সংস্থাটি এর মধ্যে ভারতে একাধিক ইলেক্ট্রিক স্কুটার বিক্রি করে। যেমন Ather 450X থার্ড জেনারেশন এবং 450S।

   

450X এর দাম ১.৩৭ লাখ টাকা। এটি ফুল চার্জে ১১১ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্কুটারের ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৪ ঘণ্টা। অন্যদিকে ৪৫০ এস স্কুটারের দাম ১.২৯ লাখ টাকা। এটি ফুল চার্জে ১১৫ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৮.৩ ঘণ্টা। সংস্থার এই সিরিজ ১ স্কুটারগুলি থেকে লেটেস্ট মডেলটি অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে বলে দাবি করছেন তরুন মেহেতা। এমনটা হলে বাজারে তাক লাগিয়ে দেবে এই কোম্পানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

স্কুটারটির রঙয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে ৬ টি অপশন – কস্মিক ব্ল্যাক, সল্ট গ্রীন, স্পেস গ্রে, স্টীল হোয়াইট, ট্রু রেড এবং লুনার গ্রে। এদিকে সংস্থাটির নতুন ইলেক্ট্রিক স্কুটারে বাকি দুই মডেলের মতই ব্যাটারি এবং স্পেশিফেকাশন থাকবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। এছাড়া আথার এনার্জি রেঞ্জের সঙ্গে নতুন স্কুটারগুলির হার্ডওয়ার, মটর সহ অন্যান্য ফিচারগুলিও এক হবে কিনা সে বিষয়ও কোন ইঙ্গিত মেলেনি। তবে জানা যাচ্ছে নতুন স্কুটার লঞ্চ করার পাশাপাশি পুরনো দুটি মডেলের বিক্রিও চালিয়ে যাবে কোম্পানি। তার কারণ এই মডেলটিও খুব সম্প্রতি নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য স্কুটারের বাজারে এই চিন্তাভাবনা প্রথম। তাই স্বাভাবিকভাবে এই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে মানুষের। একই সাথে বিগত কয়েক বছরে এদের বিক্রি বেড়েছে কয়েক শতাংশ হারে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ ইলেক্ট্রিক স্কুটারের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন। ব্যাটারি-চালিত স্কুটির গ্রাহক সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে এই ক্ষেত্রে মানুষের ভিড় বাড়তে পারে। এমনত অবস্থায় এই স্কুটে শিল্পের নতুন উদ্ভাবন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে।