সোমবার সন্ধ্যা থেকে এয়ারটেল (Airtel) গ্রাহকরা বড় ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হঠাৎ করেই এয়ারটেলের মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। নেটওয়ার্ক মনিটরিং ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টর-এর তথ্যানুসারে দিল্লি-এনসিআর, জয়পুর, কানপুর, আহমেদাবাদ, সুরাট এবং মুম্বই-সহ একাধিক শহরে এই সমস্যার প্রভাব পড়েছে।
Airtel-এর কল সংযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে
অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন যে তাদের মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল দেখা গেলেও কল করা বা রিসিভ করার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। কল সংযোগ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন বহু ব্যবহারকারী। শুধু কল নয়, মোবাইল ডেটাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে অনেকেই হঠাৎ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছেন।
ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সাধারণ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি অফিসের কাজেও ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যারা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করেন, তারা একেবারে বিপাকে পড়েছেন। শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কই নয়, এয়ারটেলের ব্রডব্যান্ড ও Wi-Fi পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ দুই-ই বাড়ছে।
Jio গ্রাহকদের বড় ধাক্কা! আচমকা বন্ধ হয়ে গেল এই জনপ্রিয় প্ল্যান, বিকল্প কোনটি
সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভ উগরে দেওয়া
এই হঠাৎ নেটওয়ার্ক বিপর্যয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা যোগাযোগহীন অবস্থায় রয়েছেন। কারও মতে, কাজের ফাইল পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না, আবার কারও অভিযোগ অনলাইন মিটিং মাঝপথে ভেঙে যাচ্ছে। অনেকেই সরাসরি এয়ারটেলকে ট্যাগ করে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এয়ারটেল (Airtel) তাদের সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, নেটওয়ার্কে বড় ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে। ইতিমধ্যেই তাদের টেকনিক্যাল টিম জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। এয়ারটেল গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে আশ্বাস দিয়েছে যে খুব দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
বর্তমানে টেলিকম পরিষেবার উপরই নির্ভর করছে মানুষের ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজ। তাই এয়ারটেলের (Airtel) এই হঠাৎ বিপর্যয় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এখন গ্রাহকরা অপেক্ষা করছেন, কবে কোম্পানি তাদের প্রতিশ্রুতি মতো পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারবে।