কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর হতে পারে ৮ম বেতন কমিশন, যার ফলে বেতন কাঠামোয় আসতে পারে বড় পরিবর্তন। কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (DA) সম্পূর্ণ শূন্যে রিসেট হয়ে বেসিক বেতনের সঙ্গে একীভূত হবে, ফলে বেসিক বেতনই হবে আরও বেশি। পাশাপাশি নতুন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করবে বেতনের প্রকৃত বৃদ্ধি।
কি এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর?
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হলো একটি গুণক, যা বিদ্যমান বেসিক বেতনের সঙ্গে গুণ করে নতুন বেসিক বেতন নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে, যদি কারও বেসিক বেতন হয় ২০,০০০ টাকা এবং ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হয় ২.৫৭, তাহলে তার নতুন বেসিক হবে:
২০,০০০ × ২.৫৭ = ৫১,৪০০ টাকা
অর্থাৎ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর যত বেশি, বেতন বৃদ্ধির হার তত বেশি।
কত বাড়তে পারে বেতন? 8th Pay Commission Salary Hike
৮ম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৮৩ থেকে ২.৮৬ পর্যন্ত হতে পারে বলে জোর জল্পনা রয়েছে। যদি সর্বোচ্চ ২.৮৬ হারে ফিটমেন্ট ধরা হয়, তবে বেতন দুই থেকে প্রায় তিন গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে লেভেল-১ কর্মীর বেসিক ১৮,০০০ টাকা
নতুন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ হলে → ১৮,০০০ × ২.৮৬ = ৫১,০০০ টাকা (প্রায়)
এতে কেন্দ্রীয় কর্মী ও পেনশনভোগী — উভয়েই বড়সড় সুবিধা পাবেন।
বর্তমান অবস্থা ও বাস্তবায়নের টাইমলাইন:
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৮ম বেতন কমিশন অনুমোদন পেয়েছে,
এখনও সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন বাকি,
কমিশনের সদস্যদের তালিকা শিগগির প্রকাশ পাবে,
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ বছরে একবার বেতন কমিশন কার্যকর হয়, যা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারি বেতন নির্ধারণ করে।
শেষ কথা:
৮ম বেতন কমিশন কার্যকর হলে মূল বেতন, ভাতা, পেনশন—সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের আর্থিক স্বস্তি আসবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। মুদ্রাস্ফীতি ও বর্তমান জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় এই কমিশনকে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।


