সমগ্র দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে 8ম পে কমিশন। এটি চালু হলে লাখো কর্মচারী ও পেনশনভোগীর আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব তথ্য ছড়াচ্ছে, তার অনেকটাই অনুমানভিত্তিক, তাই প্রকৃত তথ্য জানা প্রয়োজন।
8ম পে কমিশনের রিপোর্ট এখনও প্রস্তুত নয়:
সরকার ইতোমধ্যে 8ম পে কমিশন গঠন করেছে, তবে কমিশনের রিপোর্ট এখনও প্রস্তুত হয়নি। জানা গেছে, এই রিপোর্ট তৈরি করতে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। অনেকেই ধারণা করছেন, ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নতুন স্কেলে বেতন পাওয়া যাবে—এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। রিপোর্ট জমা, অনুমোদন এবং কার্যকর হওয়ার পরেই বেতন বৃদ্ধির টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
DA ও HRA বন্ধ হবে না—সরকারের স্পষ্ট বার্তা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দাবি করছে, 8ম পে কমিশন কার্যকর হলে DA (Dearness Allowance) ও HRA (House Rent Allowance) বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, DA ও HRA ঠিক আগের মতোই দেওয়া হবে। তাই কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের এ নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
DA বেসিক বেতনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি ভিত্তিহীন:
কিছু সূত্র দাবি করেছিল যে DA মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনো প্রস্তাব নেই। DA ও DR (Dearness Relief) আগের মতোই ছয় মাস পরপর সংশোধিত হবে।
৫০ লাখ কর্মচারী ও ৬৫ লাখ পেনশনভোগী লাভবান হবেন:
8ম পে কমিশনের সুবিধা ৫০ লাখের বেশি কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং ৬৫ লাখের বেশি পেনশনভোগী পাবেন। অর্থাৎ এর প্রভাব দেশের একটি বড় কর্মী-বিভাগের ওপর পড়বে। ফলে বেতন ও পেনশনের পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কত হতে পারে—গণনা:
বর্তমানে ৭ম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হলো ২.৫৭। অনুমান করা হচ্ছে, 8ম পে কমিশনে এটি বাড়িয়ে ২.৮৬ করা হতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির হার আরও বেশি হবে।
শেষ কথা:
8ম পে কমিশন বাস্তবায়িত হলে বেতন-ভাতায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তবে এখনই গুজব বা অনুমানভিত্তিক তথ্যের ওপর ভরসা না করে সরকারের অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
