ইএমআই থেকে মেডিকেল বিল! কেন পরিবারগুলো অষ্টম বেতন কমিশনের উপর নির্ভর করছে

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ৮ম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) একটি আশার আলো হয়ে উঠেছে। ইএমআই, মেডিকেল বিল এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচের…

Families Await 8th CPC Salary Hike to Ease EMIs, Healthcare Costs

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ৮ম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) একটি আশার আলো হয়ে উঠেছে। ইএমআই, মেডিকেল বিল এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচের চাপে জর্জরিত পরিবারগুলো এই কমিশনের বেতন বৃদ্ধির সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছে। জানুয়ারি ২০২৫-এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই কমিশনের গঠন অনুমোদন করলেও, এখনও আনুষ্ঠানিক গঠন এবং শর্তাবলী (ToR) চূড়ান্ত হয়নি। ফলে, প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী অপেক্ষায় রয়েছেন।

Read Hindi: ईएमआई से मेडिकल बिल तक: परिवार 8th Pay Commission पर क्यों निर्भर हैं

   

কলকাতার বাসিন্দা সুনীল দাস (ছদ্মনাম), একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, বলেন, “আমার বাড়ির ইএমআই, মেয়ের শিক্ষার খরচ এবং বাবার চিকিৎসার বিল আমার বেতনের অর্ধেকেরও বেশি গ্রাস করে। ৮ম বেতন কমিশনের বেতন বৃদ্ধি আমাদের জন্য একমাত্র আশা।” সুনীলের মতো লক্ষ লক্ষ পরিবার বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক স্বস্তির প্রত্যাশা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫ থেকে ২.৮৬ এর মধ্যে থাকতে পারে, যার ফলে সর্বনিম্ন বেসিক বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে ৩৪,৫৬০ থেকে ৫১,০০০ টাকায় উন্নীত হতে পারে।

মহার্গ ভাতা (DA), যা বর্তমানে ৫৫% (জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর), বেসিক বেতনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কর্মচারীদের হাতে নেওয়া বেতন এবং পেনশনভোগীদের পেনশন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়া, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম (CGHS)-এর সংস্কারের আলোচনাও চলছে, যা কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে।

Advertisements

তবে, কমিশনের গঠন এবং সুপারিশ প্রক্রিয়ায় বিলম্বের সম্ভাবনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কিছু সূত্র জানায়, সুপারিশগুলো ২০২৬ সালের জানুয়ারির পরিবর্তে ২০২৭ বা ২০২৮ সালে কার্যকর হতে পারে। এই বিলম্বের ফলে পরিবারগুলোর আর্থিক পরিকল্পনায় প্রভাব পড়তে পারে। সুনীল বলেন, “আমার বাবার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ঋণ নিয়েছি। বেতন বৃদ্ধি না হলে এই ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব।”

কর্মচারী সংগঠনগুলো দ্রুত কমিশন গঠন এবং স্বচ্ছতার দাবি জানাচ্ছে। তারা ন্যূনতম মজুরি পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভিত্তিতে নির্ধারণ, পেনশন পুনর্বিবেচনার সময়কাল পাঁচ বছরে কমানো এবং কমিউটেড পেনশন ১২ বছরে পুনরুদ্ধারের দাবি তুলেছে। এই দাবিগুলো মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করছে।

৮ম বেতন কমিশন শুধু বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে নয়, বরং ভাতা এবং স্বাস্থ্য সুবিধার উন্নতির মাধ্যমেও কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে। তবে, সময়মতো বাস্তবায়ন না হলে, সুনীলের মতো অসংখ্য পরিবারের আর্থিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।