সোনার দামে স্বস্তির হাওয়া, এক লাফে কলকাতায় কমল ২২ ক্যারাট হলুদ ধাতুর দাম!

 ভারতের অর্থনীতিতে সোনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র অলঙ্কার হিসেবেই নয়, সোনা বহু ভারতীয়ের কাছে সঞ্চয়ের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম। প্রতিদিনের বাজারদরের উপর নজর রাখা তাই অনেক…

Huge Fall in Gold Price: Sharp Decline in Rates – Check the Latest 1 Gram Gold Price

 ভারতের অর্থনীতিতে সোনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র অলঙ্কার হিসেবেই নয়, সোনা বহু ভারতীয়ের কাছে সঞ্চয়ের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম। প্রতিদিনের বাজারদরের উপর নজর রাখা তাই অনেক মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজ আমরা জানবো ১১ জুন ২০২৫ তারিখে কলকাতা ও চেন্নাইয়ে সোনার বর্তমান বাজারদর এবং তার গতকালের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ।

আজকের সোনার দাম – কলকাতা

   

আজ, অর্থাৎ ১১ জুন ২০২৫-এ কলকাতায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৮,৯৪৪ টাকা এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৯,৭৫৭ টাকা। গতকাল অর্থাৎ ১০ জুন ২০২৫-এ এই দাম ছিল যথাক্রমে ৮,৯৪৫ টাকা ও ৯,৭৫৮ টাকা। দেখা যাচ্ছে, একদিনের ব্যবধানে প্রতি গ্রামে সোনার দাম ১ টাকা করে কমেছে। যদিও এই পরিবর্তন খুব সামান্য, তবুও সোনা কেনাবেচার ক্ষেত্রে এই সূক্ষ্ম পরিবর্তনও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে যারা বড় অঙ্কে বিনিয়োগ করেন তাদের জন্য।

আজকের সোনার দাম – চেন্নাই

একই দিনে, অর্থাৎ ১১ জুন ২০২৫-এ চেন্নাইতেও ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৮,৯৪৪ টাকা এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রামে ৯,৭৫৭ টাকা। অর্থাৎ কলকাতা ও চেন্নাই – উভয় শহরেই আজ সোনার দাম একই। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, দেশের বিভিন্ন শহরে সোনার দাম প্রায় একসাথে ওঠানামা করে, যদিও কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে কর কাঠামো ও পরিবহন ব্যয়ের কারণে কিছুটা পার্থক্য দেখা যেত।

Advertisements

দামের পরিবর্তনের কারণ

সোনার দামের ওঠানামা মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও, ডলারের বিনিময় হার, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এর উপর প্রভাব ফেলে। গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে, যার প্রতিফলন ভারতীয় বাজারেও পড়েছে। এক টাকার এই পতন হয়তো সাধারণ ক্রেতাদের চোখে পড়বে না, তবে এটি সোনার বাজার বিশ্লেষকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা

যারা সোনায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই সময়টি অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল বলেই ধরা যায়। সামান্য পতন বা বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। তবে যারা স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় বিনিয়োগ করেন, তাদের জন্য প্রতিদিনের এই সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।