শেখ হাসিনার জন্যই বাগানে আম হয়, বাংলাদেশি মন্ত্রী সাধন মজুমদারের যুক্তিতে বিতর্ক

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগতরা যেমন স্তুতি করেন, ঠিক তেমন শেখ হাসিনার হয়ে বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র…

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগতরা যেমন স্তুতি করেন, ঠিক তেমন শেখ হাসিনার হয়ে বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বাড়ছে বিতর্ক।

   

বিস্তারিত খবর পড়ুন
বিতর্ক যেন বাংলাদেশের (Bangladesh) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের পিছু ছাড়ে না। না খেলে মানুষ মারা যায় না বলে প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে এবার ফের তিনি যুক্তি দিলেন ধু-ধু মাঠে এখন ফসল হয়, আমের বাগানে আম হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনার জন্য। মন্ত্রীর মন্তব্যে বাংলাদেশে ছড়িয়েছে বিতর্ক। তবে সরকারে থাকা দল (Awami League) আওয়ামী লীগের দাবি, খাদ্যমন্ত্রী আসলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা সরকারের কৃষি উন্নয়নের কথা বলতে চেয়েছেন।

রবিবার নওগাঁর পোরশা উপজেলার গাঙগুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান্রী উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন শেখ হাসিনা আছেন বলেই কৃষিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। ধু-ধু মাঠে এখন ফসল হয়। আমের বাগানে আম হয়।

বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই জমিতে সেচ ও সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা উন্নয়নের পক্ষে থাকবে নাকি আগুন সন্ত্রাসের পক্ষে যাবে।

নাম না করে খাদ্যমন্ত্রীর সরাসরি ইঙ্গিত বিএনপি দলের দিকে তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের একাংশের মতামত, প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর হয়ে স্তুতি করেন বিজেপির মন্ত্রী ও নেতা-সমর্থকরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-সমর্থকরা তাদের দলনেত্রী হয়ে স্তুতির বন্যা বইয়ে দেন, একইরকম ধারা চলছে বাংলাদেশে। এখানে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয়ে স্তুতি চলছে।

বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র বাড়িয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে এখন ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। ভবিষ্যতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা আরও বাড়বে। তিনি বলেন,উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে শেখ হাসিনাকেই দেশের ক্ষমতায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। টানা তিনবার সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের সামনে চতুর্থবার সরকার গড়ার হাতছানি। আর বিএনপির দাবি, দেশে গণতন্ত্র ধর্ষিত। নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হলে সরকারের পতন নিশ্চিত।