Bangladesh: ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে হামলার কৌশল শেখানো জঙ্গিরা ধৃত

নাশকতার ছক বানচাল। একাধিক জঙ্গি ধৃত। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি (হরকত উল জিহাদ আল ইসলামি) বাংলাদেশ শাখার পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজকে গ্রেফতার করেছে…

RAB_bangladesh

নাশকতার ছক বানচাল। একাধিক জঙ্গি ধৃত। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি (হরকত উল জিহাদ আল ইসলামি) বাংলাদেশ শাখার পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাৎপর্যপূর্ণ ধৃতদের এক শীর্ষ জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনের কাছে গিয়েছিল। বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে জঙ্গি নেটওয়ার্কের মধ্যে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ। জেএমবি, হুজি, নব্য জেএমবি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে আছে।

   

শনিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি জানান ধৃতদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের নাম ফখরুল ইসলাম (৫৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬), দীন ইসলাম (২৫) এবং আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬)।

ধৃতদের অন্যতম ফখরুল ইসলাম। সে ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আল কায়েদা জঙ্গি কমান্ডার মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করে। পরে ফখরুল বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। একে-৪৭, এলএমজি, রকেট লঞ্চার সহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার শিখে নেয় ফখরুল। এরপর আল কায়েদা নেতা মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করে ফখরুল। আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শেষ করে ফখরুল পাকিস্তান ও ইরানে গেছিল। ফের পাকিস্তানে আসে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে ফখরুল বাংলাদেশে ফিরে আসে।

ধৃত এই জঙ্গিরা বাংলাদেশে পরপর নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। নিজেদের মধ্যে বিশেষ এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ চালাত বলে জানান সিটিটিসি প্রধান মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ধৃত জঙ্গিরা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে বোমা তৈরি ও নাশকতার কৌশল শেখাত বলে জানা গেছে।