৫জুলাই, ২০২৫ তারিখে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহর ও গ্রামীণ বাজারে সবজির দামে (vegetable-prices)উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরবরাহের ঘাটতি, এবং উৎপাদন হ্রাসের কারণে সবজির দাম গত কয়েক মাসে বেশ উর্ধ্বমুখী। তবে, শীতকালীন ফসলের আগমন এবং স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে কিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
এই প্রতিবেদনে কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বাজারে সবজির সর্বশেষ দাম (vegetable-prices)এবং এর পেছনের কারণগুলি বিশ্লেষণ করা হলো।কলকাতার বাজারে সবজির দামকলকাতার খুচরো বাজারে সবজির দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে শীতকালীন ফসল যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, এবং টমেটোর প্রাপ্যতা বৃদ্ধির কারণে। পশ্চিমবঙ্গ বিক্রেতা সমিতির সভাপতি কমল দেব জানিয়েছেন, স্থানীয় ফসলের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির ফলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
উল্লেখযোগ্য কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি (vegetable-prices) যেমন আলু ৩০-৩৫ টাকা ,টমেটো: ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ: ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪৫ টাকা। আবার বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ১৮০-২২০ টাকা এবং করলা ৬৫-৮০ টাকা।
তেমনই ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা এবং মটরশুঁটি ৮০-১০০ টাকা। এই দামগুলি কলকাতার পাইকারি বাজার এবং খুচরো বাজার যেমন বেলেঘাটা, মানিকতলা, এবং গড়িয়াহাটের গড় হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে, শপিং মল, সুপারমার্কেট, এবং গ্রামীণ বাজারে দাম কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
সবজির দাম (vegetable-prices) বৃদ্ধির কারণগত বছর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের অভাব এবং প্রচণ্ড গরমের কারণে সবজি উৎপাদন ৪০-৫০% কমে গিয়েছিল, যা দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বাঁকুড়া জেলার একজন পাইকারি বিক্রেতা সুশান্ত রায় জানিয়েছেন, লতানো গাছ এবং ছোট উদ্ভিদ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, বেঙ্গালুরু এবং হিমাচল প্রদেশ থেকে টমেটো আমদানি ব্যাহত হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে, শীতকালীন ফসলের আগমন এবং স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে কিছু সবজির দাম কমেছে।
অন্যদিকে, পরিবহন খরচ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যাও দামের উপর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গালের প্রভাবে বেঙ্গালুরুতে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরনের আবহাওয়াজনিত সমস্যা দামের ওঠানামার জন্য দায়ী।
সরকারের উদ্যোগপশ্চিমবঙ্গ (vegetable-prices) সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যের নিজস্ব খুচরো নেটওয়ার্ক ‘সুফল বাংলা’ ন্যায্য মূল্যে সবজি সরবরাহ করছে। উদাহরণস্বরূপ, সুফল বাংলায় টমেটোর দাম ১১৫ টাকা/কেজি এবং ঝাল মরিচ ২৪০ টাকা/কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্স প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। রবীন্দ্রনাথ কোলে, টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্য, জানিয়েছেন, আগামী মৌসুমি বৃষ্টির সঙ্গে দামের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক (vegetable-prices) প্রভাবসবজির দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের গৃহস্থালি বাজেটের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। টমেটো এবং কাঁচা লঙ্কার দাম গত বছরের তুলনায় ১০০-২০০% বেড়েছে, যা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এছাড়া, পেঁয়াজ, আলু, এবং বেগুনের দামও ৫০-৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়িয়ে তুলছে, যা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৪% লক্ষ্যমাত্রার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
স্থানীয় বাজারের গতিশীলতাকলকাতায় ৭টি পাইকারি মান্ডি রয়েছে, (vegetable-prices) যেখানে সকাল ৬:৩০ থেকে দুপুর ১:৩০ পর্যন্ত কার্যক্রম চলে। এই মান্ডিগুলিতে স্থানীয় এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আগত সবজি বিক্রি হয়। তবে, পরিবহন ব্যয় এবং স্থানীয় চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যহীনতার কারণে দামে তারতম্য দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ ভারত থেকে টমেটো আমদানি কমে যাওয়ায় এর দাম বেড়েছে।
ভোক্তারা স্থানীয় বাজার, (vegetable-prices) সুপারমার্কেট, বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন বিগবাস্কেট থেকে সবজি কিনতে পারেন। বিগবাস্কেটে বিভিন্ন সবজির দাম প্রতিযোগিতামূলক, এবং বিনামূল্যে ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, সুফল বাংলার মতো সরকারি উদ্যোগ থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি কেনা যায়। ভোক্তারা দৈনিক দামের তথ্য জানতে মোবাইল অ্যাপ বা স্থানীয় বাজারের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
কাটোয়ায় গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই শেখ
পশ্চিমবঙ্গে সবজির দামে সাম্প্রতিক হ্রাস সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির বিষয় হলেও, কিছু সবজির উচ্চ দাম(vegetable-prices) এখনও উদ্বেগের কারণ। সরকারের হস্তক্ষেপ এবং শীতকালীন ফসলের প্রাপ্যতা দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। ভোক্তাদের সচেতনভাবে কেনাকাটা এবং স্থানীয় উৎপাদনের উপর নির্ভরতা বাড়ানোর মাধ্যমে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।