কলকাতা, ৩ অক্টোবর ২০২৫: বর্তমান সময়ে কৃষকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ। সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচ খরচ বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে অনেক কৃষকই চাষের আগে ভেবে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে আশার খবর হলো—২০২৫ সালে এমন কয়েকটি ফসল আছে যেগুলো কম বিনিয়োগে বেশি লাভ এনে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাজারে চাহিদা ও আধুনিক প্রযুক্তি বিবেচনা করে কৃষকদের ফসল বেছে নিতে হবে।
Low Investment Crops
১. ড্রাগন ফ্রুট
- প্রথমবার চাষে কিছুটা খরচ হলেও পরে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম।
- প্রতি বিঘায় উৎপাদন ৮-১০ টন পর্যন্ত হতে পারে।
- এক্সপোর্ট মার্কেটে এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
২. মাশরুম
- অল্প জায়গায় ও কম খরচে চাষ সম্ভব।
- মাত্র ২০-২৫ দিনে ফসল পাওয়া যায়।
- বাজারে দামও স্থিতিশীল, এবং শহুরে এলাকায় চাহিদা অনেক।
৩. অর্গানিক সবজি
- কেমিক্যাল ছাড়া উৎপাদিত সবজির দাম সাধারণ সবজির দ্বিগুণ পর্যন্ত।
- শহরে “অর্গানিক মার্কেট” গড়ে উঠছে, যেখানে ক্রেতারা বেশি দামে কিনতে রাজি।
- ছোট জমিতেও চাষ করে ভালো আয় সম্ভব।
৪. মেডিসিনাল প্ল্যান্টস (যেমন তুলসি, অ্যালোভেরা, অশ্বগন্ধা)
- আয়ুর্বেদ ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
- তুলসি ও অ্যালোভেরা কম পানিতে সহজেই জন্মায়।
- সরকারও মেডিসিনাল ফসল চাষে ভর্তুকি দিচ্ছে।
৫. সূর্যমুখী ও তিল
- তেলের জন্য বাজারে চাহিদা সবসময় থাকে।
- অন্য ফসলের তুলনায় সেচ ও সার খরচ অনেক কম।
- একবার বীজ বপন করলে ৩-৪ মাসে ফসল তোলা সম্ভব।
Low Investment Crops: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- মাল্টি ক্রপিং মডেল অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমবে।
- আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ড্রিপ সেচ বা জৈব সার ব্যবহার করলে খরচ অনেকটাই কমবে।
- স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সঙ্গেও যুক্ত হওয়া জরুরি।
২০২৫ সালে কৃষকদের সামনে সুযোগ রয়েছে কম খরচে বেশি লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকতে। শুধু সঠিক ফসল বেছে নেওয়া নয়, বাজারের গতিবিধি বোঝাও জরুরি। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক বছরে অর্গানিক, এক্সপোর্ট-অরিয়েন্টেড ও মেডিসিনাল ফসলই কৃষকদের জন্য সবচেয়ে বড় ভরসা হতে চলেছে।