News Desk: রাতভর জনসভাস্থলের অনুমতি নিয়ে বিস্তর টালবাহানা চলেছে। সর্বশেষ ফের আগরতলায় পূর্ব নির্ধারিত রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন স্থানেই মিলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভার অনুমতি। এই মঞ্চে ভাষণ দেবেন টিএমসির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, গোয়ায় দলের ভোট পূর্ববর্তী কর্মসূচি সেরে কলকাতা ফিরবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন আগরতলা পুরনিগম ভোটে তিনিও প্রচারে আসবেন। তবে তার আগে ভাইপো কে দিয়েই নতুন করে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু করিয়ে দিয়েছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে টানা তিনবার শাসনে এসে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় নিজেদের বিস্তার ঘটাতে মরিয়া। সর্বশেষ ভোট পরিসংখ্যান বলছে তৃণমূল এ রাজ্যে ০.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সেই পুঁজি নিয়েই বারবার ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল।
আসন্ন আগরতলা পুরনিগম ভোটে পরীক্ষা দিতে মরিয়া টিএমসি। যদিও দলের তরফে কোনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। টিএমসির দাবি, বিজেপি থেকে হু হু করে সমর্থক চলে আসছেন মমতার শিবিরে। টিএমসির উপর বারবার হামলার প্রমাণ রাজ্যের বিজেপি জোট সরকার ভীত। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব গণতান্ত্রিক পথ নিতে চাননা।
আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল শনিবার। রাতে সভার অনুমতি মিলতেই ‘বিজয় উল্লাস’ পালন করেন টিএমসি নেতা কর্মীরা। অভিযোগে এদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের। শুধুমাত্র রাজ্যে টিএমসির সাংগঠনিক প্রসারের দায়িত্ব নিয়ে আসা সুস্মিতা দেব অসমবাসী।
আগরতলা পুরনিগম দখলে শাসক বিজেপি ও বিরোধী সিপিআইএমের মধ্যে মূল লড়াই হবে। বিজেপি শিবিরও জানিয়েছে, বিরোধী বামেরা প্রচারে এগিয়ে। তবে রবিবার থেকেই পূর্ণ উদ্যমে নামছে বিজেপি। পুর যুদ্ধে রয়েছে একদা রাজ্যের শাসক ও টানা কয়েক দশক বিরোধী থাকা কংগ্রেস।