News Desk: করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পিছনে কোনও জীবাণু বোমার প্রয়োগ নয়, এটির সংক্রমণ পরিবেশগত কারণেই। এমনই জানিয়ে দিল ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ওডিএনআই)।
মার্কিন গোয়েন্দাদের আরও দাবি, করোনার উৎপত্তি সম্ভবত কখনোই জানা যাবে না। তবে ভাইরাসটি জীবাণু অস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়নি।
বিবিসি জানাচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংখ্যাগুলির রিপোর্টে লেখা আছে, করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে একটি প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণ এবং ল্যাব লিক দুটোই যুক্তিযুক্ত অনুমান। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে কোভিড-১৯ প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের আগে ভাইরাসটির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা ছিল না চিনা কর্মকর্তাদের।
বিবিসি আরও জানাচ্ছে, ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভাইরাসটির সম্ভাব্য উৎস নিয়ে বিভক্ত। চারটি গোয়েন্দা সংস্থার দাবি একটি সংক্রমিত প্রাণি বা অন্য কোনও ভাইরাস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর।।
চিন থেকেই এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার হামলায় বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়েছে। মৃত্যু মিছিল চলেছে। আপাতত টিকা প্রয়োগ চলছে। এতে মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছে।
তবে করোনা সংক্রমণের প্রথমদিকে এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার তৎকালীন প্রেসিডেন্সি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত চিনকে দোষারোপ করেছিলেন। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল চিন। করোনা নিয়ে চিন-মার্কিন দ্বন্দ্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) পড়ে যায় মাঝখানে। ট্রাম্প সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন কিছুটা কম। জীবাণু হামলার দু বছরের মাথায় এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্ট। এতে চিনকে দায়ভার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য আগামী এক বছরে ২ হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর জন্য সংস্থাটি জি-২০ গোষ্ঠীকে অর্থ প্রদানের আহবান জানিয়েছে।
‘হু’ প্রধান জানান, করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় ধরে গরিব দেশগুলিকে সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখতে পারবে না ধনী দেশগুলি। এর জন্য জি-২০ নেতারা এগিয়ে আসুন।