Jalpaiguri: আবার ব্যাগে সদ্যোজাতের দেহ, থামালেন হাসপাতাল কর্মীরাই

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একই ভাবে ব্যাগে ভরে এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা…

Jalpaiguri medical Hospital

short-samachar

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একই ভাবে ব্যাগে ভরে এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রুখে দিলেন কর্মীরা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কলেজের অধীনে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে।

   

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ব্যাগে ভরে সদ্যোজাতের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিতর্কের জেরে হাসপাতালগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়। আগে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে এক মহিলার মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রবলবিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে বছর চল্লিশের এক মহিলাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। এ দিন সকালে ওই মহিলার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এর পরেই একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, ওই মহিলাকে প্রসূতি বিভাগে স্থানান্তর করতে হয়। সে সঙ্গে সদ্যোজাতের মৃত্যুর শংসাপত্র-সহ দেহও দিয়ে দেওয়া হয়। হুইলচেয়ারে ওয়ার্ড থেকে যখন মহিলাকে বের করা হচ্ছিল, সে সময় হাসপাতালে ফেসিলিটি ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মহম্মদ শাহজাহান।

হুইলচেয়ারের পাশেই একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পান কর্তব্যরত শাহজাহান। ব্যাগের ভিতরে কী রয়েছে, তা ওই মহিলার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ”বাচ্চার মৃতদেহ রয়েছে।”

শুনেই তত্‍ক্ষণাত্‍ শাহজাহান হাসপাতালের সহকারী সুপার সুস্নাত রায়কে ফোনে বিষয়টি জানান। হাসপাতালে যান সহকারী সুপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরে, নিয়ম মেনে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বের করা হয়েছে।

হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খান বলেন, ”এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, কর্মীদেরও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”