ক্লাব-ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব অব্যাহত মহামেডানে, থাকবে বাঙ্কারহিল?

ক্লাব-ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব একেবারেই নতুন নয় কলকাতা ময়দানে। বছর কয়েক আগে কোয়েস থেকে শুরু করে শ্রীসিমেন্টের মতো লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার একাধিক বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির।

Mohammedan SC Is Bunkerhill

ক্লাব-ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব একেবারেই নতুন নয় কলকাতা ময়দানে। বছর কয়েক আগে কোয়েস থেকে শুরু করে শ্রীসিমেন্টের মতো লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার একাধিক বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। তবে পরবর্তী সময় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দরুন ইমামির সঙ্গে চুক্তি হয় লাল-হলুদের। তারপর থেকে এখনো শান্তি বজায় রয়েছে লেসলি ক্লডিয়াস সরনীর এই ক্লাবে।

তবে বিগত কয়েকমাস ধরে এই একই ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেড। কিছু বছর আগে একাধো ইস্যুকে কেন্দ্র করে লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে একটা সময় সমস্ত সমস্যার উন্নতি ঘটলেও এবার ফের পরবর্তী মরশুমের দল গঠনের আগে দেখা দিয়েছে বিবাদ। তবে উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে বর্তমানে অনেকটাই শান্ত হয়েছে পরিস্থিতি। তাহলে কি আগামী মরশুমের জন্য থাকছে বাঙ্কারহিল?

এই প্রসঙ্গে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহামেডানের এক কর্তা বলেন, গত কয়েকমাস ধরেই ইনভেস্টার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। তবে আমাদের তরফ থেকে গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে ওদের তরফ থেকে যে সমস্ত বিষয় গুলির দাবি ছিল তা আমাদের তরফ থেকে প্রায় চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবার ওনারা কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে। তিনি আরও বলেন, আগে আমদের মেইল করে চুক্তি শেষ করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়গুলি উল্লেখ তার অনেকটাই সংশোধন করে আমাদের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে। এখন দীপক কুমার সিংয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপরেই বাকিটা নির্ভর করছে।

উল্লেখ্য, সাদা-কালো ব্রিগেডের সঙ্গে চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করা হয় বাঙ্কারহিলের তরফ থেকে। যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হয় ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে। বলতে গেলে দেশের তরুন প্রতিভাদের তুলে ধরার দিকেই বেশি জোর দেয় লগ্নিকারী সংস্থা। পাশাপাশি গোটা ভারত জুড়ে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফলে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাদের তরফে, এখন সেটাই দেখার।