রাজ্যবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে প্রায়শই চেষ্টা করে সরকার। কখনও ‘দিদিকে বলো’,তাতে সরাসরি প্রশাসনকে ফোন করে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।
আবার রাজ্য সরকার নিয়ে এসেছে ‘দিদির দূত’ পরিষেবা, যাতে জনপ্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ যার মাধ্যমে নানা সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন সাধারণ মানুষ।
এবার দিদির পাড়ায় ‘জনতার দরবার’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই এই জনতার দরবার শুরু হয়েছিল। করোনার সময়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল, রবিবার থেকে তা ফের চালু করা হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার মুখে রয়েছে মিলন সংঘ। সেখানেই প্রতি রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসবে জনতার দরবার।
এই জনসংযোগ কর্মসূচির তত্ত্বাবধানে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। গতকাল সেখানে সুব্রত বক্সী ছাড়াও হাজির ছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নির্মল মাজি, কাউন্সিলার কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রয়োজনমতো প্রশাসনের আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই দরবারে এসে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সমস্যা শুনে তা দ্রুত নিরসন করে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যাপার নয়, যে কেউ এসে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানাতে পারবেন তাঁর সমস্যা, মতামতও। চিঠি দিতে চাইলে তা জমা করা যাবে।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচি নিয়ম করে প্রতি রবিবারই হতো। সুব্রত বক্সী, ববি হাকিম-সহ দলের একাধিক নেতামন্ত্রী উপস্থিত থাকতেন। এই দরবারে কোনও কোনও রবিবার ৩০০-৪০০ জনও এসে নিজেদের কথা বলেছেন।