কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর (Abhijit Ganguly) নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Job Scam) এই রায়ে তীব্র চাঞ্চল্য। রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলার পথে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ।
আরও পড়ুন: কেন ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী
‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’, ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ
৩৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ হবে। পর্ষদ সভাপতি বলেন, প্রত্যেকে অ্যাপটিটিউড টেস্টে মার্কস পেয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। আর ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক। এই সময়ের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন একাধিক অভিযোগকারী। এর পরেই বিচারপতি বলেছিলেন ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দেব’ শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর নির্দেশে ৩৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। বাকি ৬ হাজার ৫০০ জনের চাকরি বহাল থাকছে।
বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে এরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। আগামী চার মাস তারা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। রাজ্যকে এই তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।