শয়ে শয়ে অনুগামী নিয়ে নিজের ঘরেই দল বিরোধী বিদ্রোহের ঘাঁটি বানালেন ইসলামপুরের (Islampur) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক (Abdul Karim Chowdhury) আবদুল করিম চৌধুরী। তাঁর রণংদেহী মেজাজ আরও চড়ছে।
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলত্যাগের মত চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আবদুল করিম চৌধুরী। সেরকম কিছু হলে তাঁর সামলে দুটি পথ হয় কংগ্রেসে যোগদান করা নতুবা নির্দল হয়ে তৃণমূল শিবিরে ধস নামানো। বিধায়ক নিজের বিদ্রোহী ইমেজে অনড়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি না। তার সাথে যোগাযোগ নেই। হু ইজ হি!
ইসলামপুরের বিধায়ক আহদুল করিম চৌধুরীর বিদ্রোহে উত্তরবঙ্গের রাজনীতি সরগরম। আর উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে। আবদুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, দলের অন্দরে গোষ্ঠিবাজি চরমে। সেই গোষ্ঠিবাজির কারণে আমার ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করায় অপর গোষ্ঠি। বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী সরাসরি জেলা তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধেই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, আমি এসব কথা মমতা ব্যানার্জীকে বলেছিলাম। তিনিও পদক্ষেপ নেননি।
এদিকে তৃ়নমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের জনসভা বয়কট করে বিদ্রোহী বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, অভিষেক বাচ্চা ছেলে, হু ইজ হি’। তিনি জানান, দলে কোনও সম্মান নেই। যারা খুন করছে তাঁরাই অভিষেকের সভায় থাকছে, দলের নেতৃত্ব তাঁদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন তিনি।