সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মমতার সঙ্গ-ত্যাগ ও দলত্যাগ করলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় যাওয়া লুইজিনহো ফেলেইরো। তিনি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃ়ণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে মুখ করে গোয়া বিধানসভায় লড়েছিল তৃ়ণমূল। তবে ফেলেইও ভোটে নামেননি। গোয়ায় করুণ হাল হয় তৃণমূলের।
এরপর ফেলেইরোকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠান মমতা। তিনি সাংসদ পদ ছাড়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও পদত্যাগ করেছেন। ফেলেইরো এবার কোথায় যাবেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। এদিন তিনি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘আমি টিএমসি থেকে পদত্যাগ করেছি৷ আমি এখনই কোন নতুন দলে যোগ দিচ্ছি না৷’
ফেলেইরোর পদত্যাগের পরপর তৃণমূলে গুঞ্জন অপর সাংসদ সুস্মিতা দেবকে ঘিরে। তিনিও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁকে দলে টেনে এনে ত্রিপুরায় দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে করুণ হাল হয়েছে তৃণমূলের। আর ভোটের পর সুস্মিতার ‘পাত্তা নেই’ বলে কটাক্ষ চলছে আগরতলার রাজনীতিতে। নীরব সুস্মিতা। তবে তৃণমূলের একাংশের দাবি, সুস্মিতা দেবকে এবার শিলচরেই পাঠানো হতে পারে।
সুস্মিতা দেব কি তৃ়ণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফিরবেন? অসম প্রদেশ কংগ্রেস তাঁর বিষয়ে নীরব। তবে ‘শিলচরের দিদি’ তৃণমূলের সাথে দূরত্ব রাখছেন বলে কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে। দিল্লির হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, ইন্দিরা গান্ধী ঘনিষ্ঠ প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করলেও পুরনো দলের সাথে তেমন দূরত্ব রাখেননি।