কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার বলেছেন যে কংগ্রেস (Congress) চায় গান্ধী পরিবারের (Gandhi family) জন্য আলাদা আইন হোক। ‘রাইজিং ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০২৩’-এ, যখন নেটওয়ার্ক ১৯ গ্রুপের গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে রাহুল গান্ধী সুরাট আদালতের দ্বারা দণ্ডিত হওয়ার পরে এবং তারপরে সরকারী বাংলো খালি করার পরে কি জনগণের সহানুভূতি পাবেন না? এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কনভিকশনে স্থগিতাদেশ থাকতে পারে না, সাজা থাকতে পারে, তিন মাস কেন দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লালু যাদবকে বাঁচাতে অধ্যাদেশ আনা হয়েছিল, এটা কংগ্রেসের আমলের আইন, কংগ্রেস সরকারে রাহুল গান্ধী আজেবাজে কথা বলে অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, যদি আইন হয়ে যেত, তাহলে এটা হতো। আজ বেঁচে গেছি। চল যাই এত দাম্ভিকতা যে তারা আবেদনময়ীও নয়। কংগ্রেস চায় গান্ধী পরিবারের জন্য আলাদা আইন হোক। তারা স্পিকারের উপর প্রশ্ন তোলেন, তবে সদস্যপদ অযোগ্যতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্ত ছিল।
কোলারে রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যিনি সমাবেশ করতে চান তিনি তা করতে পারেন, তিনি তা করতে স্বাধীন।” রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে গালি দেননি, তিনি পুরো মোদী সম্প্রদায় এবং তেলি সমাজকে গালি দিয়েছেন। তিনি যদি ক্ষমা না চাইতেন, তাহলে তার শাস্তিও হওয়া উচিত ছিল না।
বীর সাভারকারকে নিয়ে কংগ্রেস নেতার বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বীর সাভারকার সম্পর্কে তার মন্তব্য করা উচিত নয়। বীর সাভারকরই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার দাদির (ইন্দিরা গান্ধী) বক্তৃতা শোনা উচিত, রাহুলের সঙ্গীরাও তাকে বোঝাচ্ছেন।
‘রাইজিং ইন্ডিয়া’কে আপনি কীভাবে দেখেন এবং এতে প্রকৃত নায়কদের অবদান কী? এর জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সব ক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছে, গত ১০ বছরে প্রতিরক্ষা এবং স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে সর্বাধিক কাজ করা হয়েছে। ভারত অনেক ক্ষেত্রে একটানা কাজ করেছে, এর কৃতিত্ব মাটিতে কাজ করা মানুষদের। ২০৪৭ সালে যখন স্বাধীনতার ১০০বছর পূর্ণ হবে, ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে এক নম্বরে থাকবে।