নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতাদের নাম জড়াচ্ছে ক্রমাগত৷ আবার কোথায় সরকারের অধীনে কর্মরত ব্যক্তিদের তলব করছে তদন্তকারী সংস্থা৷ পাল্টা স্বচ্ছতার দাঁড়িপাল্লায় নিজেদের তুলে পূর্বসূরি বাম আমলের ইতিহাস তুলে ধরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Mamata Banerjee) ও তাঁর দল। বুধবার রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে এমনই মন্তব্য ফের করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন তিনি বলেন, প্রাইমারি স্কুল হোক, মাধ্যমিক স্কুল হোক, যত কাগজ বেরোচ্ছে এখন সব সিপিএমের লোকেরা করছে বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে। ওদের একটা ফাইল খুঁজুন পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজন পাবেন না। লুকিয়ে রেখেছে। ২০০২, ২০০৯, ২০২০ এর খুঁজুন পাবেন না।
এরপরেই তিনি বলেন, হয় চুরি করেছে, নয় পুড়িয়ে দিয়েছে, নয় লুকিয়ে রেখেছে। আর আজকে তোমার গলার বেশি জোর। সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কী করে? খুলব খাতাটা? একজন বাবু আছেন সিপিএমের রোজ কুৎসা করে বেরায় তাঁর বউ চিরকুটে ঢুকেছিল। তিনশো টাকায় ঢুকেছিল এখন প্রচুর টাকা পেনশন পায়।
এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, যে চোর-ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে রয়েছে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? সব চোর-ডাকাত। আর বড় বড় কথা বলছে বিজেপির গুণ্ডারা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, বাম আমলের কোনও ফাইল পাবে না, সব পুড়িয়ে দিয়েছে। একাধিক রাজ্যে পেনশন দেয় না৷ এখন পেনশন নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করি?
পাশাপাশি ধর্না মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার বগটুই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন৷ তিনি বলেন, আমি তো ভেবেই পাচ্ছি না বীরভূমের বগটুইতে কী হল! চাকরি দিলাম, টাকা দিলাম, ঘর দিলাম, আমাদের লোক মার্ডার হল, যাকে সিবিআই গ্রেফতার করল সে মার্ডার হল, লোক বিচার পেল না। তাঁদের সঙ্গে কত টাকার ডিল হয়েছে? তদন্ত আমিও করব। দেখব কার কাছ থেকে কত টাকা কোন খাতে কার কাছে গিয়েছে।