নিউজ ডেস্ক: পরিবার, প্রিয়জন, ঘরবাড়ি থাকার সত্বেও বীর সৈনিকরা সীমান্তে প্রাণপাত করেন যাতে দেশবাসীরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যেতে পারেন। তবে দেশের সুরক্ষার জন্য সীমান্তে কেবল সৈন্যরাই প্রাণের আহুতি দেয় না, দেশরক্ষার মতো গুরুতর কাজে যুক্ত থাকা অবলা জীবদের অবদান চাপা পরেই থেকে যায়। অসীম বীরত্বে সীমান্ত পারে প্রাণ দিয়েছে শয়ে শয়ে সারমেয়, ঘোড়া, এমনকি উটও। তবে তাদের কীর্তির কথা মনে রাখেনি কেউই। জেনে নেওয়া যাক গোটা বিশ্বের এমনি কয়েকটি বীর চার-পেয়েদের গল্প:
১. যোদ্ধা কুকুর
সার্জেন্ট স্টাবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে প্রাণপাত করা ২০০০০ বীর সারমেয়দের একজন। মেসেঞ্জার কুকুর, করুণা কুকুর, পাহারাদার কুকুর এবং মাস্কটরা রাজা এবং দেশের জন্য তাদের কাজ করেছে যুদ্ধের ময়দানে। স্টবি এমনকি আসন্ন গ্যাস আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কুকুর ছিল প্রথম গৃহপালিত প্রাণী এবং গোটা বিশ্বের ইতিহাস জুড়ে যুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত মিলিটারি পশু। রোমান সেনাবাহিনীতে কুকুরের একটি পৃথক রেজিমেন্ট ছিল। তাদের গলায় এবং গোড়ালিতে পরানো হতো বিশেষ কাঁটাওয়ালা কলার।
২. যোদ্ধা পায়রা
যুদ্ধের পায়রা ৫০০০ এর ও বেশী সময় ধরে বার্তা আদান প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জরুরী বার্তা আদান-প্রদান করার কাজে অসংখ্য পায়রা ব্যবহার করা হয়েছিল। চের আমি নামে একটি পায়রাকে ‘ক্রয়এক্স দে গুররে’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে বার্তা আদান প্রদানের কাজেই বীরত্ব দেখানোর জন্য যা বহু সৈনিকের জীবন বাঁচিয়ে ছিল।
৩. যোদ্ধা ঘোড়া
মানুষ ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্য এশিয়ায় ঘোড়া গৃহপালিত করতে শুরু করে এবং ইতিহাসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। তারা শিকারী প্রাণী এবং তাই তাদের হুমকির প্রথম প্রতিক্রিয়া হতবাক হয়ে পালিয়ে যাওয়া। তা সত্ত্বেও, তাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে, তারা তাদের রাইডারদের বহন করে অসংখ্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আট লাখেরও বেশি ঘোড়া তাদের জীবন দিয়েছিল।
৪. যোদ্ধা উট
১৯১৫ সালে উট ব্রিগেড গঠন দেখেছিল গোটা বিশ্ব। রোমান সাম্রাজ্যর সময় থেকেই উট যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উটের গন্ধ শত্রুদের ঘোড়াগুলিকে ভীত করে। তাই বিশ্বযুদ্ধের সময় উটের বহুল ব্যবহার হয়েছে।