সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল। কীভাবে নিয়োগ হল? এত দিন ধরে কীভাবে তিনি চাকরি পেয়েছেন? তা নিয়ে তথ্য তুলে ধরছে তৃণমূল। পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে সিপি(আই)এমের তরফে। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে গর্জে উঠলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)৷
তাঁর কথায়, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল অবধি জানতামই না। আমরা ওদের মতো কে কখন ট্রেনে, বাসে যাতায়াত করছে, বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করছে, খোঁজ করি না। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। তখনও গ্রুপ সি এবং ডিকে ওরা কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। নথি থেকে তাই পরিষ্কার নয় যে, ওঁর ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না। তবে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি হয়েছিল কি না, সেনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তদন্ত শুরু করবেন৷ এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সিপিএমের অভ্যেস মিথ্যে কথা বলা। অতীতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, বর্তমানেও তাঁর অন্যথা হয়নি। আমরা বলেছি রাজ্যে যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল চলছে, বাম জমানাকেও সেই তদন্তের আওতায় আনা হোক। কারণ একপেশে ভাবে একটি রাজনৈতিক দলের বদনাম করা হচ্ছে৷
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, বাম আমলেও তো ৪৬ হাজার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে। কই আমাদের সরকার তো তাদের নিয়ে কোনও অভিযোগ করেনি। ভদ্রতা কি আমাদের দুর্বলতা! বিষয়টি সরকারিভাবে খতিয়ে দেখা হবে৷