বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবীর (former Bihar Chief Minister Rabri Devi) কষ্ট কমার নামই হচ্ছে না। আজ অর্থাৎ সোমবার জমির বিনিময়ে চাকরি (Recruitment corruption) দেওয়ার ঘটনায় রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই দল। রাবড়ি দেবী ছাড়াও এই মামলায় লালু প্রসাদ যাদব, তার দুই মেয়ে (মিসা ভারতী এবং হেমা যাদব) এবং আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
Bihar | A CBI team present at the residence of former CM Rabri Devi in Patna, officials inside her house confirm. Details awaited.
Visuals from outside her residence. pic.twitter.com/dEb74nrEZi
— ANI (@ANI) March 6, 2023
সিবিআই অভিযোগ করেছে যে লালু যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় আকারের অনিয়ম হয়েছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, লালু কোনো বিজ্ঞাপন ছাড়াই ডি গ্রুপে ১২ জনকে চাকরি দিয়েছেন। এর পরিবর্তে আবেদনকারীদের জমি লেখা হয়েছে। জমির মোট আয়তন প্রায় ১,০৫,২৯২ বর্গফুট। সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রী হিসেবে লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে আবেদনকারীদের প্রথমে অস্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এ সময় জমির চুক্তি নিশ্চিত হলে চাকরি স্থায়ী করা হয়।
এই লোকেদের মধ্যে চাকরি বিতরণ করা হয়েছে
সিবিআই দায়ের করা এফআইআর-এ রেলে জমির বদলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের নাম হল রাজকুমার, ধর্মেন্দ্র রাই, রবীন্দ্র রাই, অভিষেক কুমার, দিলচাঁদ কুমার, মিথিলেশ কুমার, অজয় কুমার, সঞ্জয় রাই, প্রেমচাঁদ কুমার, লালচাঁদ কুমার, হৃদানন্দ চৌধুরী এবং পিন্টু কুমার। এই আবেদনকারীদের সদস্যদের নামে লালুর স্ত্রী রাবড়ি, মেয়ে মিসা, হেমা যাদবের নামে জমির মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে লক্ষাধিক টাকাও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
এই ক্ষেত্রে ২০২২ সালের অক্টোবরে, সিবিআই প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। সেই সময় সিবিআইও এই বিষয়ে অভিযান চালায়। সিবিআই ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ রেলওয়েতে চাকরির জন্য জমি কেলেঙ্কারির বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত নথিভুক্ত করেছিল, যা ১৮ মে, ২০২২-এ এফআইআর-এ রূপান্তরিত হয়েছিল।
বিজেপিকে নিশানা করলেন সাংসদ সঞ্জয় রাউত
এদিকে, সাংসদ সঞ্জয় রাউত টুইট করেছেন, ‘আপনার বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, এটা একনায়কত্ব। যেভাবে তালিবান এবং আল কায়েদা তাদের শত্রুদের নির্মূল করার জন্য অস্ত্র তুলে নেয়। একইভাবে, তাঁর মতো লোকেরা (বিজেপি) তাদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করছে।