West Bengal: ট্রান্সজেন্ডাররা নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলার আইনশৃঙ্খলা

এখন পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আইন পরিচালনা করতে দেখা যাবে। রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঞ্জা বুধবার ঘোষণা করেছেন, শীঘ্রই কনস্টেবল পদে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হবে

এখন পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আইন পরিচালনা করতে দেখা যাবে। রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঞ্জা বুধবার ঘোষণা করেছেন, শীঘ্রই কনস্টেবল পদে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হবে

ট্রান্সজেন্ডারদের এখন পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আইন পরিচালনা করতে দেখা যাবে। রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঞ্জা বুধবার ঘোষণা করেছেন, শীঘ্রই কনস্টেবল পদে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের হাতে সরকারি সনদপত্র ও পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, কনস্টেবল পদে নিয়োগ ফরমে নারী, পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি পরিচয়পত্র হস্তান্তর ছাড়াও সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা।কেন্দ্রীয় আইনের অধীনে প্রথম গেজেট নোটিফিকেশন করা হয়েছিল। মন্ত্রিসভা পুলিশে হিজড়াদের জন্য চাকরি সংরক্ষণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসপাতালে হিজড়াদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের হাতে শংসাপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই রাজ্যের ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা আবেদন করেও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না, যা সরকারি চাকরি বা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশেষে বিভ্রান্তি মিটে গেল। বুধবার রবীন্দ্রসদনে রাজ্যের ট্রান্সজেন্ডারদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন নারী ও শিশুকল্যাণ ও শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। এই শংসাপত্রটি কেন্দ্রীয় ট্রান্সজেন্ডার রাইটস প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০১৯ এর অধীনে জারি করা হবে। এ রাজ্যে শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার ১৪ জনকে সনদ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম হল, আবেদনকারীকে হলফনামা, পুরনো আধার কার্ডের কপি কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের পোর্টালে জমা দিয়ে একটি শংসাপত্র চাইতে হবে। শংসাপত্রটি জেলা কালেক্টর বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জারি করা হয়।

সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যা হয়েছে
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সনদে তার স্বাক্ষর রয়েছে। আইনগতভাবে এক মাসের মধ্যে আবেদনকারীকে সনদ দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় সনদ প্রদানে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। জানা গেছে, শতাধিক ট্রান্সজেন্ডারের আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। কলকাতায় গৃহহীন ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি হোম গরিমা গৃহের বাসিন্দারাও তালিকায় রয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিমবঙ্গের জেলা আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।