Exit Poll নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ত্রিপুরায়। জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে বিজেপির সম্ভাব্য জয় দেখানো হয়েছে। আর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোটের ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। কে ঠিক? তার উত্তর বন্দি আছে ইভিএমে। এদিকে সরকার ও বিরোধী দুপক্ষের দাবি ‘জিতছিই’। এই দাবি থেকে দুপক্ষের সমর্থকরা তৈরি কোমর বেঁধে।
ফলে গণনার দিন অর্থাৎ ২ মার্চ সবকটি গণনা কেন্দ্রে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে। পরিস্থিতি আঁচ করে নির্বাচন কমিশন গণনা কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার কড়া বলয় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন আধিরারিক কিরণ গিত্যে অনুরোধ করেছেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য।
সোমবার উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের বিধানসভা ভোটের এক্সিট পোল বের করে জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমগুলি। একাধিক সংস্থার সমীক্ষা প্রকাশের পর সবগুলিকেই উড়িয়ে দিয়েছে ত্রিপুরার বিরোধী দল সিপিআইএম। রাতেই এক্সিট পোলকে গাঁজা চাষের সাথে তুলনা করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী। আরও এক কদম এগিয়ে হেভিওয়েট বাম প্রার্থী পবিত্র কর জানান, ফল ঘোষণার পর কোনওরকমে বিজয় মিছিল করবেন না দলীয় সমর্থকরা।
অন্যদিকে এক্সিট পোল বের হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা রাজ্যবাসীর কাছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আবেদন করেন। বিজেপি আগেই দাবি করেছে তারা সরকার ধরে রাখছে। কংগ্রেসের তরফে সুদীপ রায় বর্মণের কটাক্ষ, দুই অংকের ঘরে যেতে পারবেনা বিজেপি। আর তিপ্রা মথা প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, যারা হারে তারা বেশি আওয়াজ করে।
গত বিধানসভা ভোটের ফল গণনার পর নীরবে টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানার পরিবর্তন ঘটিয়ে ছিলেন ত্রিপুরাবাসী। ফল ঘোষণার পরই ত্রিপুরা জুড়ে তীব্র রাজনৈতিক হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এই নির্বাচনেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও ভোট পরবর্তী সংঘর্ষ চলেছে। মৃত্যু হয়েছে। দুপক্ষের একাধিক জখম।