Pelham Warner: ১২৩ বছর ধরে অক্ষত ক্রিকেটের এই রেকর্ড

১৮৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পেলহ্যাম ওয়ার্নার (Pelham Warner) জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৩২ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলেন।

Pelham Warner

জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামার সময় হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই । এমনটা তো হতেই পারে । আর সেই স্নায়ুচাপের শিকার হয়ে শেষমেশ ব্যর্থ হয়েছেন, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয় ।

কিন্তু উল্টো ঘটনাও তো ঘটিয়েছেন কেউ কেউ । বলতে দ্বিধা নেই, জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে ইস্পাত-কঠিন মানসিকতা নিয়ে দুর্দান্ত সফলতা অর্জন করেছেন এমন ক্রিকেটারদের আমরা তাই একটু সম্ভ্রমের চোখেই দেখে থাকি । আজ ‘অল্প স্বল্প ক্রিকেটের গল্প’-এর পাঠকদের এমন দু’জন ক্রিকেটারের অবিশ্বাস্য কাহিনী জানাবো, যাঁরা আবির্ভাবেই এমন আলোড়ন তুলেছিলেন, যা আজও রয়েছে অন্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে !!

১৮৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পেলহ্যাম ওয়ার্নার (Pelham Warner) জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৩২ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলেন। মজার ব্যাপার হল, প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অল আউট হয় মাত্র ১৪৫ রানে। সেই পিচে কেউ ৩০ রানের গন্ডি টপকাতে পারেননি ! নবাগত ওয়ার্নার ২১ রান করেন । দক্ষিণ আফ্রিকা অ্যালবার্ট ট্রটের (৪/৬১) বোলিং সামলে ১০৬ রানে এগিয়ে যায় মূলত জিমি সিনক্লেয়ারের ৮৬ রানের ইনিংসের দৌলতে ।

ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দফায় একটা মোক্ষম চাল দেয় নবাগত ওয়ার্নারকেই ওপেন করতে পাঠিয়ে । চালটা শুধু ‘ক্লিক’ করেনি, ওয়ার্নারকেও যেন অবিনশ্বর কীর্তি গড়ে তোলার পথে একধাপ এগিয়ে দেয় । সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ওয়ার্নার অনবদ্য অপরাজিত সেঞ্চুরি(১৩২) করেন । এবং সেই সঙ্গে এক অবিনশ্বর রেকর্ড গড়ে ফেলেন । হ্যাঁ, এই বিশ্বে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি এবং সেই সঙ্গে ‘ক্যারিং দ্য ব্যাট’ অর্থাৎ ইনিংসের গোড়াপত্তনে এসে শেষপর্যন্ত নট আউট থেকে যাওয়ার যৌথ কীর্তি গড়েন !! ভাবা যায়, ১২৩ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে রেকর্ডটা !! ও হ্যাঁ, আনন্দের শেষ খবরটা বলে রাখি, ইংল্যান্ড শেষপর্যন্ত টেস্টটা জিতেছিল ৩২ রানে !!

পরবর্তীকালে ‘স্যার’ পাওয়া ওয়ার্নার প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে মিডলসেক্সের হয়ে জীবনের ‘প্রথম’ ও ‘শেষ’ ম্যাচে দুবারই আউট হন ‘৬’ রানে।