শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher recruitment corruption) তদন্তে নেমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে জড়িয়েছে বলাগড়ের দুই তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম (Shantanu Banerjee)। দুই জনের বাড়িতে সম্প্রতি তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এরপরেই শান্তনুর বাড়ি থেকে একাধিক তথ্য পেল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর দুটি মোবাইল থেকে একাধিক তথ্য মিলেছে। তাই বুধবার তাঁকে তলব করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শান্তনুর দুটি ফোন থেকে ডিলিট করা মেসেজের দিকেও নজর পড়েছে তদন্তকারী সংস্থার। একাধিক চ্যাট কেন ডিলিট করা হয়েছে? কী লুকোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে? সূত্রের খবর, শান্তনুর দুটি ফোনের মাধ্যমে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং ফোন কলের তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাদের নাম যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এখানে তৃণমূলের বড় মাপের নেতারা যুক্ত থাকতে পারে। তাই শান্তনু এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।
এর আগে কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে একাধিক তথ্য উদ্ধার হয়েছে। এমনকি তৃণমূলের নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ২০০ জন টেট চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি পাওয়া গেছে। সেই সমস্ত তথ্য সহ একাধিক বিষয়ে যাচাই করতে শান্তনুকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শান্তনু এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
ইডি সূত্রের খবর, এর আগে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালে আনন্দপুরে কুন্তলের ভাড়ার ফ্ল্যাটে ৩ জন মিলে একটি বৈঠক করেন। যদিও তাপস সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্ন শান্তনু এড়িয়ে গেছেন বলেই জানা গেছে। কী ভাবেই বা তাঁদের মধ্যে হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটে কথা হত? পাশাপাশি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্কের লেনদেনের নথিও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।