কলকাতা শহরতলি সংলগ্ন ভাঙড়ের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)৷ রবিবার এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের উপরেই সমস্ত দোষ চাপালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক৷
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূলের ‘কালার বয়’ মদন মিত্র বলেন, “এই বিষয়ে পুলিশতদন্ত করছে। খুব তাড়াতাড়ি এটা প্রমাণ হয়ে যাবে যে কারা গণ্ডগোল শুরু করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি চায়, কখনও দাঙ্গা বা অশান্তিতে বিশ্বাস করে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা বদল চাই, বদলা নয়।”
Kolkata, WB | Police is investigating the matter, it'll soon be proved who started it. TMC wants peace, doesn't believe in riots. WB CM had said that 'we want change, not revenge': TMC leader Madan Mitra on ISF activists' allegation that TMC workers attacked them yesterday pic.twitter.com/5YDEFUhtu9
— ANI (@ANI) January 22, 2023
শুক্রবার ভাঙড়ে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বোমাবাজি থেকে পার্টি অফিসে আগুন, মারামারি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। শনিবার ভাঙড়ের সেই রাজনৈতিক আগুনের আঁচে পুড়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়। আইএসএফ সমর্থকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র৷
শনিবার ধর্মতলা চত্বরে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের চিত্র এখনও টাটকা। ইট বৃষ্টি থেকে কাঁদানে গ্যাস, দুই পক্ষের লড়াইয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। আইএসএফ কর্মীদের বিক্ষোভ তুলতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়। তবে শেষে পুলিশ জমায়েত সরিয়ে দেয়। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বেশ কয়েকজন আইএসএফ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার সিকিদ্দি সহ ধৃতদের আদালতে হাজির করা হয়৷ কিন্তু, আদালত তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে৷ ধৃত এক নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে৷ তবে, ভাঙড়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গন রীতিমতো উতপ্ত হয়ে উঠেছে৷