পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক শেষে একান্ত বৈঠকে মমতা-শাহ। কী আলোচনা হল পূর্ব বৈঠকে?

পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অমিত শাহের (Amit Shah) নবান্নের ১৪ তলায় একান্তে বৈঠক।এই বৈঠক ঘিরে অনেক আগে থেকেই জল্পনার সৃষ্টি…

Mamata Banerjee-Amit Shah

short-samachar

পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অমিত শাহের (Amit Shah) নবান্নের ১৪ তলায় একান্তে বৈঠক।এই বৈঠক ঘিরে অনেক আগে থেকেই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল, যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে মমতা-শাহের একান্তে বৈঠক হয় কিনা,অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল।

   

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নবান্নের সম্পন্ন হয় পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক। দেশের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর কাজের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে একাধিক রাজ্য। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগেই মুখ খুলেছে পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় প্রকাশ্যে একাধিকবার এব্যাপারে সরব হয়েছেন।

রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করতেই কেন্দ্রীয় সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অনেক সময়ই বিএসএফের আক্রমণে সীমান্তে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলেছে বারবার শাসক দল,এছাড়াও সীমান্তে চোরা চালানের সংখ্যা ক্রমশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে রাজ্য,সীমান্তে চোরাচালানের ক্ষেত্রে রাজ্য নিজের দায় এড়াতে পারে না পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে , সেই সীমান্ত এলাকার অনেকাংশেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না জমি সংকটের জেরে,এই সংকট যাতে দ্রুত মিটে যায় সে নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয় ।ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক প্রতিবেশী রাজ্যের জলাধার থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছাড়া হয় ,যার জেরে রাজ্যের অনেকাংশেই মাঝে মাঝে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় আবার কৃষিকাজের ক্ষেত্রে যখন জলের প্রয়োজন দেখা দেয়,তখন প্রতিবেশী রাজ্য থেকে জল ছাড়া হয় না এই সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সরব ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,এই সমস্যা যাতে দ্রুত সুরাহা পায় সে নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনাহয়।

সকাল ১১ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয় এবং এবং দুপুর একটা ৪০ নাগাদ এই বৈঠক শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট বেশি সময় ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ওড়িশার দুই মন্ত্রী।