ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওডিশা এফসির কাছে অপ্রত্যাশিত হারের ধাক্কা কাটিয়ে রবিবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ১-৩ গোলে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal)। খেলার দু’মিনিটে লাল হলুদের হয়ে গোলের লকগেট খোলে ভিপি সুহের। এরপর ম্যাচের ২৬,৫৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন ক্লিনটন সিলভার জোড়া গোল।
ঘুরে দাঁড়ানোর রেড এন্ড গোল্ড বিগ্রেড জামশেদপুর এফসির ঘরের মাঠ JRD টাটা স্পোটর্স কমপ্লেক্সে তিন পয়েন্ট পেয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের টেবলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরেই রয়ে গেল।আর এইডি বুথরয়েডের দল হেরে যাওয়ায় নয় থেকে ১০ নম্বরে নেমে গেল লিগ টেবলে।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে চোট সারিয়ে ওঠা জেরি,লিমা জায়গা পেলেও কিরিয়াকু ম্যাচ ফিট না হওয়াতে জায়গা পায়নি। খেলার ২ মিনিটে নাওরেম মহেশের ক্রস বক্সের মাঝখান থেকে ভিপি সুহের হেডার জামশেদপুর এফসির জালে জড়িয়ে যেতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ২৬ মিনিটে লাল হলুদ শিবিরের অধিনায়ক ক্লিনটন সিলভার বক্সের মাঝখান থেকে নেওয় ওপরের বাম কোণে ডান পায়ের শট জালে জড়াতেই ইস্টবেঙ্গল এফসি ২-০ গোলের লিড নিয়ে ফেলে। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যে নায়ক নাওরেম মহেশ, যিনি ক্রস বাড়িয়ে সিলভাকে গোল করতে সহায়তা করেন।
খেলার ৪০ মিনিটে, জামশেদপুর এফসি পেনাল্টি পায়।বক্সের ভিতর ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড় চুংনুঙ্গা লাল জামশেদপুরের ফুটবলার হ্যারিসন সয়ারকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে ইমানুয়েল-থমাসের বাম পায়ের শট ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়াতেই গোলের ব্যবধান ২-১ হয়।এরপর খেলার ৫৮ মিনিটে নাওরেম মহেশের থ্রু বল থেকে ক্লিনটন সিলভার ডান পায়ের শট জামশেদপুর এফসির জালে জড়িয়ে যেতেই ১-৩ গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল যে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারতো, সুযোগও পেয়েছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।তবে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কখনই স্বস্তিতে ছিলনা। ‘মেন অফ স্টিল’রা বল পায়ে আক্রমণে উঠে এসেছিল,কিন্তু লাল হলুদ বিগ্রেডের ডিফেন্স লাইন সজাগ থাকায় গোলের দরজা খুলতে পারে নি ড্যানিয়েল চিমা চুকুউরা। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল এফসির পরের খেলা হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে, ৯ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে।