Qatar WC: বিশ্বকাপে কি নীল-সাদা রঙের জৌলুস দেখা যাবে? কোরিয়া কাঁটায় আটকেছে উরুগুয়ে

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা সিটি: বৃহস্পতির সাঁঝবেলায় থমকে গেছে বিশ্ব সেরা ফুটবল বাঘ উরুগুয়ে। আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আর্জেন্টিনা। দুটি দেশের পতাকায় আছে নীল-সাদা রঙ…

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা সিটি: বৃহস্পতির সাঁঝবেলায় থমকে গেছে বিশ্ব সেরা ফুটবল বাঘ উরুগুয়ে। আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আর্জেন্টিনা। দুটি দেশের পতাকায় আছে নীল-সাদা রঙ ও সোনালি সূর্য। টানটান ম্যাচটার পর লিখতেই হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপে (Qatar WC)  কি নীল-সাদা রঙের জৌলুস দেখা যাবে?

দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) কাঁটায় আটকে গেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল (Uruguay)  উরুগুয়ে। বিশ্বকাপে এশিয়ার দাপট চলছে। ফের দক্ষিণ আমেরিকা খেল ধাক্কা। খেলা শেষে তাঁবু মুখো উরুগুয়ে সমর্থকরা যদিও হৈ হুল্লোড় করতে করতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। কোরীয়রাও ফিরছেন।

দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (১৯৩০১৯৫০) দল উরুগুয়ের পতাকা নীল-সাদা ও সোনালি সূর্য। একইভাবে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৮১৯৮৬) আর্জেন্টিনারও পতাকার রঙ নীল-সাদা সাথে সূর্য। তবে দুটি দেশের পতাকার ফারাক স্পষ্ট। সেটা কূটনৈতিক পরিচয়ের বিষয়। কিন্তু বৃহস্পতির সাঁঝবেলায় থমকে গেছে এই দুই বিশ্ব সেরা ফুটবল বাঘ। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদি আরবের জয়ের পর উরুগুয়েকে রুখে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

সকালে যখন খবর পাঠিয়েছিলাম তখন লিখেছিলাম পুরো কাতারি, আরবি, কুয়েতি, বাহারিনি সহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য নেমে পড়েছে এশিয়ার হয়ে গলা ফাটাতে। জাপানের কাছে জার্মানির পরাজয়টা আরও বাড়তি আনন্দ। বিশ্বকাপে আগেও নেমেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এবারে এশিয়ার পরপর দাপটে এদিন ম্যাচটা ছিল আবেগের।

এদিকে  কাতার জুড়ে একটা কানাকানি চলছে উত্তর কোরিয়ার এমনায়ক শাসক কিম জং উনের রণমূর্তি নিয়ে। তাঁর বোন ও দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর কিম ইয়ো জং  সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়াকে বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুকুর! আশঙ্কা করা হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ চলার মাঝে কিমের নির্দেশে ফের মিসাইল হামলা হবে।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উনের মিসাইল হামলায় এই কয়েকদিন আগেও জাপানবাসী ভয়ে মাটির তলায় ঢুকে গেছিলেন। কিমের প্রবল লক্ষ্য কী করে প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়ার মনে সবসময় ভয় ধরানো যায়। এমনিতে কিমের ভয়ে মুরগি ছানার মতো কাঁপে দক্ষিণ কোরিয়া,জাপান। বিপুল মিসাইল শক্তি ও পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়ার জন্য চিন্তায় থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বেপরোয়া কিমের তাতে কিছু যায় আসেনা।

নিজের দেশ নেই বিশ্বকাপে। সর্বত্র আলোচনা উত্তর কোরিয়ার শাসক চান যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে। এই মিসাইল আতঙ্ক নিয়েই দুটি দেশ তাদের গতিশীল ফুটবল খেলছে কাতার বিশ্বকাপে।