Football: কত দামে বিক্রি হল দিয়াগো মারাদোনার “হ্যান্ড ওফ গড” বলটি!

হ্যান্ড অফ গড-ফুটবলপ্রেমীদের মনে আজও অমলিন সেই ঘটনার স্মৃতি। বিপক্ষ খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শক, সকলকেই হতবাক করে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবলের(Football)  রাজপুত্র। সটান হাত দিয়ে…

maradonas-hand-of-god-vall-has-sold

হ্যান্ড অফ গড-ফুটবলপ্রেমীদের মনে আজও অমলিন সেই ঘটনার স্মৃতি। বিপক্ষ খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শক, সকলকেই হতবাক করে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবলের(Football)  রাজপুত্র। সটান হাত দিয়ে গোলের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন দিয়াগো মারাদোনা। তাঁর মৃত্যুর পরে নিলাম হয়ে গেল ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া সেই বলটি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ওই ম্যাচে মারাদোনার জার্সিও নিলাম করা হয়েছিল। কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহও বাকি নেই। ফুটবল জ্বরের মধ্যেই বিপুল অর্থে বিক্রি হয়ে গেল ঐতিহাসিক সেই বলটি।

Advertisements

১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ম্যাচের রেফারির হেফাজতেই ছিল ওই ম্যাচের বলটি। মেক্সিকোয় আয়োজিত হওয়া বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যাজটেকা বল। মেক্সিকোর প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতার কথা মাথায় রেখেই এই বল ডিজাইন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পুরো সময়ে এই বলটি দিয়েই খেলা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের একটি নিলামে ২৪ লক্ষ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে ঐতিহাসিক বলটি। বিশেষজ্ঞদের অনুমানের দ্বিগুণ দামে এই বলটি কেনা হয়েছে।

   

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই নিলামে বিক্রি হয়েছিল হ্যান্ড অফ গড ম্যাচে ব্যবহৃত মারাদোনার জার্সি। কাতার বিশ্বকাপেও দর্শকরা সেই জার্সি দেখতে পাবেন। কাতারের ৩-২-১ স্পোর্টস মিউজিয়ামে এই বিখ্যাত জার্সি রাখা থাকবে। ফলে কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ফুটবল অনুরাগীদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে যে পরিণত হবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির এই ‘হ্যান্ড অফ গড’ জার্সি, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisements

উল্লেখ্য, ’৮৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন মারাদোনা। সেই গোল দু’টি নিয়ে আজও চর্চা অব্যাহত। গোল দু’টির প্রথমটি ছিল ‘হ্যান্ড অফ গড’। যেখানে রেফারির চোখ এড়িয়ে হাত দিয়ে গোল করেন মারাদোনা। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর্জেন্টাইন তারকার খোদ স্বীকারোক্তি ছিল, ‘‘গোলটা কিছুটা মাথা দিয়ে, কিছুটা ঈশ্বরের হাত দিয়ে।’’ পরে তা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও ওঠে। ঘটনা যাই হোক না কেন, ফুটবলপ্রেমীদের মনে এই ঘটনার আবেদন আজও অমলিন।