নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা (Indian Airforce) দিবস পালিত হয়েছে সাড়ম্বরে। ৮৯ তম বায়ুসেনা দিবসে ফিরে দেখা যাক তাদের বিশেষ কিছু চমকপ্রদ তথ্য৷ ভারতীয় বিমান বাহিনী বা ‘বায়ুসেনা’ বিশ্বের সবচেয়ে কর্মঠ বিমান বাহিনীর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল দেশর আকাশসীমা সুরক্ষিত করা। দেশ রক্ষায় আকাশযুদ্ধ পরিচালনা করা। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার করা। বারবার দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বায়ুসেনা। তেমনই কিছু অজানা ঘটনা।
১. ২০১৬ সালে যখন ভারতীয় বিমান বাহিনীতে প্রথম তিনজন মহিলা ফাইটার পাইলট কমিশন পেয়েছিলেন তখন আইএএফ ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
২. ১৫০০ টিরও বেশি বিমানের বহরে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পরেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান বাহিনী।
৩. এটি বিশ্বের সপ্তম শক্তিশালী বিমান বাহিনী, এমনকি জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের চেয়েও কৃতিত্বশালী।
৪. ভারতীয় বিমান বাহিনী রাষ্ট্রসংঘের বেশ কয়েকটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে যা বিমান সহায়তা, গোলাবারুদ পরিবহন, সেনা এবং খাদ্য সরবরাহ করে।
৫. পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় মহিলা যিনি তিন তারকা পদে উন্নীত হয়েছেন।
৬. অপারেশন রাহাত ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসামরিক উদ্ধার অভিযান যা কোনো বিমানবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে চালায়। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালায়।
৭. সিয়াচেন হিমবাহ এএফএস পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিমান বাহিনী স্টেশন ২২,০০০ ফুট।
৮. ২০১৩ সালে আইএএফ ১৬৬১৪ ফুট উচ্চতায় লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানবন্দরে একটি সুপার হারকিউলিস বিমানের সর্বোচ্চ অবতরণ করে একটি বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
৯. ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে ধ্বংসাত্মক সুনামি আঘাত হানার এক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের পূর্ব উপকূলে পৌঁছেছিল বায়ুসেনা।
১০. ২০১৮ সালে বন্যায় বিধ্বস্ত কেরলে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে ভারতীয় বিমান বাহিনী শুধু অনুকরণীয় সহায়তা প্রদান করেনি, মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ২০ কোটি টাকাও দান করেছে।