মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির ভাইফোঁটায় যেমন বাড়ির লোকের সমাগম হয়৷ তেমনই সমাগম হয় TMC নেতাদের। তবে গত দুই বছর পর তা অনেকটাই কমে গেছে৷ দলের তরফে উপস্থিত হলেন হাতে গোনা কয়েকজন নেতারা। যারা দিদির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ সেই তালিকায় ছিলেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি ও ডেরেক ও ব্রায়েনরা। তবে সবথেকে বেশী যাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তিনি হলেন (Mukul Roy) মুকুল রায়।
ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল বলা মুকুল রায়কে নিয়ে আশবাদী মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা দিয়েছে। তার ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বিরাট প্রশ্নের মুখে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একেবারে বুথস্তরের কর্মীদের চাঙ্গা করতে মমতা মুকুল অস্ত্রে শান দিতে চান।
২০১৪ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন মুকুল রায়। ফের তৃণমূলে মুকুলের প্রত্যাবর্তন করেছেন। গত একমাসে মুকুলের রাজনৈতিক গুরুত্ব আগের মতোই বাড়তে শুরু করেছে। বিজয়া সারতে গিয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে ঘন্টাখানেকের বৈঠকের পর একাধিক নেতাদের সমাগম সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার পর তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে।
রাজনৈতিক জীবনে শুরু থেকেই মুকুলকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ সময় ধরে দলের সেকেণ্ড ইন কম্যান্ডের পদ সামলেছেন তিনি। মুকুলের বিজেপির যাওয়াতেই ভোটের অঙ্ক বদলে গিয়েছিল। এমনটা নিজেও জানেন মমতা। পরে শুভেন্দুরা দলবদল করলেও তৃণমূলের ভোটে বিরাট এফেক্ট পড়বে না সেটাও বুঝতে পেরেছেন তিনি৷ তাই মুকুল রায়কে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।