NCC করলে তৃণমূল থাকবে না তাই টাকা দিচ্ছে না: দিলীপ ঘোষ

এনসিসির (NCC)জন্য রাজ্যের তরফে বরাদ্দ অর্থ মেলেনি৷ এই অভিযোগ জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে৷ যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ এনসিসির কেন বিরোধিতা করছে সরকার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷…

Dilip Ghosh

এনসিসির (NCC)জন্য রাজ্যের তরফে বরাদ্দ অর্থ মেলেনি৷ এই অভিযোগ জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে৷ যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ এনসিসির কেন বিরোধিতা করছে সরকার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷ এই ইস্যুতে শাসক দল তৃ়ণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

Advertisements

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সেনা-আধা সেনায় যে নিয়োগ হয় সবাই তো এনসিসি থেকে যায় না আবার সবাই এনসিসি করে না। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের যুবকদের যুবতীদের দেশ প্রেম ও নিয়মাবর্তিতার প্রশিক্ষণ হওয়া উচিত। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্কুলজীবন থেকেই নিয়মানুবর্তিতা আনার চেষ্টা হয়। এটি একটি বড় অভিযান হিসেবেই চলছে।

   

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি মনে করে তাদের পার্টির নেতাদের মত সবাই চরিত্রহীন আর চোর হোক তাহলে এখানে এনসিসি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ তারা বুঝে গিয়েছে এনসিসি করলে কেউ মা মাটির ঝান্ডা ধরবে না সেইজন্যই হয়তো বন্ধ করে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এরকম চেষ্টা এর আগেও অনেক হয়েছে। সিপিএমও চেষ্টা করেছিল কিশোর বাহিনী নাম দিয়ে। আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষ যে পারিবারিক সংস্কার পায় তারা এই ধরনের রাজনীতির মধ্যে ছেলেমেয়েরা পড়বে না। এখনকার রাজনৈতিক নেতাদের যা স্তর কে চাইবে তাদের ছেলেমেয়েরা রাজনীতি করতে যাক।

Advertisements

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে না। তাই রাজ্যের এনসিসির ভবিষ্যত এখন প্রশ্নের মুখে৷ এনসিসি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে (ডিজি) চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল। সেই চিঠি চলে গেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতরে৷

চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এনসিসির বরাদ্দ অর্থ রাজ্য সরকার কাটছাঁট করেছে। এমনকি এনসিসিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই নতুন করে ক্যাডেট নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই এনসিসির বরাদ্দ অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। মোট ৬ দফায় রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের কাছে আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷