BCCI প্রেসিডেন্ট থেকে সৌরভ গাঙ্গুলীকে (Sourav Ganguly) সরিয়ে দেওয়ার পিছনে বিজেপির রাজনীতিকে ঘৃণা করছেন বলেই জানালেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা (Ashok Bhattacharya) অশোক ভট্টাচার্য। ক্রিকেট মহলে তিনি সৌরভের ‘গডফাদার’ বলেই পরিচিত। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি জানান, সৌরভ রাজনীতির শিকার। আমি আগেও বলেছি ও যেন রাজনীতিতে না নামে।
সৌরভ গাঙ্গুলী কি রাজনীতিতে নামবেন? এমনই প্রশ্ন ক্রমশ বড় হচ্ছে। তিনি নিজে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, অন্য কিছু করতে চাই। অনেকে মনে করছেন বিজ্ঞাপন বা কোনও আরও বড় টিভি শো অনুষ্ঠান করতে পারেন সৌরভ। তবে তার রাজনীতিতে যোগদান নিয়েও চর্চা চলছে।
এসব নিয়েই নিজের মতামত জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘনিষ্ঠ অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ গাঙ্গুলীকে বিসিসিআই সভাপতি থেকে সরানোর পর থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য কী বলেন তা নিয়ে কৌতুহল তীব্র। তিনিই যে সৌরভের নিয়ন্ত্রক তা ক্রিকেট মহলে চর্চিত। তবে অশোকবাবু প্রথমে বলেন দীর্ঘদিন সৌরভের সঙ্গে যোগান নেই। তাঁর মন্তব্য শুনে ক্রিকেট ও রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ছড়ায়।
এবার অশোক ভট্টাচার্যের বললেন, বিসিসিআইয়ে থাবা বিজেপির। অসম্মানজনকভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি চেয়েছিলাম সৌরভ যাতে কোন রাজনীতি না করে। একটা বিষয় আমার খারাপ লেগেছিল, যখন সিএবির সভাপতির নাম হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম ও বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ নিজে সৌরভের নাম ঘোষণা করেন। এটা ঠিক হয়নি। আমি খেলাধূলায় রাজনীতি ঘৃনা করি।
ক্রিকেটের পাশাপাশি জাতীয় ফুটবল সংস্থায় বিজেপির আধিপত্য ও রাজ্য ফুটবলে তৃ়ণমূল কংগ্রেসের পারিবারিক আধিপত্য নিয়ে সরব হন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলে বাইচুং ভুটিয়াকে প্রশাসক হতে দেয়নি বিজেপি।