হিজাব (Iran Hijab Row) না পরায় পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল (Iran) ইরান। হিজাব বিদ্রোহের জেরে ইরান জ্বলছে। ১৯৭৯ সালে পহ্লবী রাজতন্ত্র তথা শাহ রাজবংশ বিরোধী গণআন্দোলন (ইসলামি বিপ্লব) পরবর্তী এমন বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি। পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত। জনম অনেকে। এর মাঝে নোবেল জয়ী (Malala Yousafzai) মালালা ইউসুফজাইয়ের বিস্ফোরক দাবি, বাধ্যতামূলক হলে তিনিও হিজাব পরা ত্যাগ করতে পারেন।
পাকিস্তানি মালালা বর্তমানে ইংল্যান্ডের আশ্রয়ে সেদেশের বিশেষ নাগরিকত্ব নিয়ে থাকেন। পড়তে যাওয়ার জন্য তালিবান জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করেছিল। পরে মালালার চিকিৎসা হয় ইংল্যান্ডে।
ইরানি আমিনির অস্বা়ভাবিক মৃত্যু ও হিজাব বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে মালালা তাঁর Instagram স্টোরিতে লেখেন, “একজন মহিলা কী পরবেন সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। আমি আগেও বলেছি, কেউ যদি আমাকে জোর করে মাথা ঢেকে রাখতে বলে, আমি প্রতিবাদ করব। যদি কেউ আমাকে আমার স্কার্ফ খুলে ফেলতে বাধ্য করে, আমি প্রতিবাদ করব।”
নোবেল জয়ী নারী শিক্ষাকর্মী মালালা দাবি করেছেন ইরানি যুবতী আমিনির ন্যায়বিচার। মালালার বার্তা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে।
ইরানের হিজাব বিদ্রোহ নিয়ে আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি হিজাব পোড়ানোর আহ্বান জানান। তসলিমার আহ্বানের পর থেকে পুরো ইরান জুড়ে আরও বড় আকার নেয় বিক্ষোভ। বিভিন্ন দেশের ইরানি দূতাবাসের সামনে চলছে হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ।
সরকারের হিজাব নীতির বিরুদ্ধে চরম আওয়াজে কাঁপছে (Iran) ইরান। ইরানি যুবতী আমিনিকে পুলিশ হিজাব না পরায় পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। আমিনিকে প্রকাশ্যে হিজাব বিহীন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। ইরানের যে অংশে কুর্দিস্তানের কিছু এলাকা পড়ে সেখান থেকে তেহরান আসার পথে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আমিনিকে। এরপর রক্তাক্ত জখম আমিরির দেহ হাসপাতালে আছে এমন ছবিতে উত্তাল হয়েছে ইরান। অভিযোগ তাকে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।