কিশোর কুমার ভারতীয় চলচ্চিত্রজগত থেকে সংগীতজগত সব টুকুতেই তার নাম অনস্বীকার্য। তার এক একটি সংগীত ভারতীয় সংগীত জগতকে অন্য ধারায় তুলে ধরেছে। সংগীতের সাথে সাথে তিনি অভিনয়েও ছিলেন সমান পারদর্শী। একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয়ে করে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান কিন্তু তার এতদিন পরেও কেউ ভুলতে পারেনি তার মধুর গান।
১৯২৯ সালের ৪ঠা আগস্ট মহারাষ্ট্রের খান্দোওয়াতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।ছোট থেকে গানের ওপর ছিল তার আলাদা আকৃষ্টতা। বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান ছিলেন তিনি। জীবনে চারজন নারীকে বিয়ে করেন । তার চারজন স্ত্রী হলেন রুমা গুহঠাকুরতা (১৯৫০-১৯৫৮), মধুবালা (১৯৬০-১৯৬৯), যোগিতাবালী (১৯৭৫-১৯৭৮) এবং লীনা চন্দাভারকর (১৯৮০-১৯৮৭)। তার ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন পুরোটিই ছিল খুব রঙিন। খুবই মজাদার মানুষ ছিলেন কিশোর কুমার। তারে এই সিনেমার মতো জীবনকে যদি চলচ্চিত্রের পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায় তাহলে মন্দ হবে না। এর আগেও এই নিয়ে বহু পরিচালক কিশোর কুমারের বায়োপিক তৈরি করার কথা ভেবেছেন। বারবার নানা কারণে নানা পরিচালক পিছিয়ে এসেছেন।
কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে তার এবং রুমা গুহা ঠাকুরতার ছেলে অমিত কুমার নিজেই তার বাবার বায়োপিক তৈরি করবেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন ‘বাবাকে তার পরিবারের লোকের থেকে বেশি কেউ চিনতে পারে না’। তাই তার পরিবারের উদ্যোগে এই বায়োপিক তৈরি হবে। এখনো পর্যন্ত এই বায়োপিকের মুক্তি পাওয়ার দিন বা কে এই বায়োপিকে কিশোর কুমারের চরিত্রে অভিনয় করবে তা কিছুই বলা হয়নি। শুধু জানা যায় গেছে যে খুব তাড়াতাড়ি এই বায়োপিকের কাজ শুরু হতে চলেছে।