মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্ত নেন, এখন থেকে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী পাইলট কার ব্যবহার করতে পারবেন না। রাজ্যের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে৷ যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছে। তৃণমূলের ১১ বছরের কার্যকলাপ নিয়ে তুলোধনা করলেন সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)৷
শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ২০১১ থেকে ২০২২। এই ১১ বছর ধরে পাইলট কারে ছয়লাপ। সামনে পাঁচটি গাড়ি, পিছনে ছয়টি গাড়ি। মন্ত্রী হলেও বটে, তৃণমূক নেতাও বটে৷ শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী ছিলেন তখনও লাল বাতি৷ বিরোধী দলনেতা তখনও লালবাতি৷ মন্ত্রী নন, বিরোধী দলনেতা নন অনুব্রত মণ্ডল, তারও লালবাতি৷ এখন মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গেছেন হাল ভালো না। পাইলট কার ব্যবহার করো না ভাই৷ কয়েকদিন পরে পাইলট কার এমনিতেই চলে যাবে। কারণ, সরকারকে মানুষ হারিয়ে দেবে৷ মন্ত্রীরা তো মন্ত্রী থাকবে না৷ মন্ত্রীরা তো জেলে থাকবে। তাই পাইলট কার ব্যবহার করার বিষয় নেই৷ আস্তে আস্তে শেখো যাতে পাইলট কার এবং লাল আলো ব্যবহার বন্ধ করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে আছেন বুঝতে পারছেন৷ আগাম সতর্কবার্তা জানিয়ে দিলেন৷
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল বলেন, দিদি তাঁর পাশে রয়েছে। এবিষয়ে আশ্বস্ত তিনি৷ এপ্রসঙ্গে বাম নেতার মন্তব্য, অনুব্রত মণ্ডল খাঁচার বাইরের বাঘ থেকে খাঁচার বেড়াল হয়ে গিয়েছিলেন৷ যেহেতু সিবিআই-ইডি ডাকাডাকি করছে। দরজা বন্ধ করে খিল দিয়ে কাঁপছিলেন৷ তারপর চোখের জল বের হচ্ছিল৷ সেই অনুব্রত মণ্ডল বুঝে গিয়েছিল ওর ভবিষ্যৎ এটাই৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মাথার ওপর হাত রেখে বলেছেন, নানা আমি আছিন আমাকেও যেতে হবে তুমি যেরকম, আমিও সেরকম ভরসায় থেকো৷
অন্যদিকে আজই কারাবাসে থাকা প্রাক্তন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে প্রবেশের মুখে দাবি করেন, ধীরে ধীরে সমস্ত প্রকাশ পাবে৷ এবিষয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমার কোনও আপিল ওনার কাছে করার নেই৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবং তৃণমূল সমর্থক যারা তাঁরা ওনার কাছে আপিল করছেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে, ফেঁসে তো গেলেন। চাকরি বিক্রির কোটি কোটি টাকার হিসেব তো দিতে পারবেন না৷ আপনি যখন ফেঁসে যাচ্ছেন, তখন আপনাকে শিখন্ডী করে যারা ওপরে এবং নীচে লুঠ করেছে, তাঁদের নামের তালিকাটাও বলে দিন৷ মানুষ বলছে মুখ্যমন্ত্রী তো তালিকা দিয়ে দিয়েছেন৷ কার ভাগ কতটা রয়েছে সেটা বলে দিন৷