অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর পরিবারের বেনামি সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। এরপরেই নজর গেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার দিকে৷ সূত্রের খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। তবে এই মুহুর্তে সিবিআইয়ের নজর পড়েছে সুকন্যার দুই সংস্থার ডিরেক্টর বিদ্যুৎ গায়েনের সম্পত্তির দিকে। সব কিছু দেখে মঙ্গলবার ফের বোলপুরে যাচ্ছে CBI
বীরভূম জেলা তৃ়ণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন গোরু পাচার মামলায় সিবিআই হেপাজতে। তার জেরা চলছে। ধৃত অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নামছেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বীরভূম জুড়ে ফের সিবিআই বিশেষ অভিযানে নামছে বলেই জানা যাচ্ছে।
অনুব্রতর গ্রেফতারের পর থেকে বোলপুরের বাড়িতে একলা সুকন্যা। তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল লেনদেনে গোরু পাচার তদন্তের সূত্র আছে বলে মনে করছে সিবিআই। তাছাড়া সুকন্যার নামে যে দুটি সংস্থা খোলা হয়েছিল সেটি রহস্যজনক বলে সিবিআইয়ের ধারণা।
জানা গেছে বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎ গায়েন এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর৷ দীর্ঘ দিন ধরে বোলপুরে বেড়েছে তার সম্পত্তির পরিমাণ৷ হঠাৎ সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণ কী? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার দুই সম্পত্তির অংশীদার অনুব্রত নিজেও৷ তাই টাকা কোথা থেকে আসত সে সম্পর্কে বিদ্যুৎবরণকে জিজ্ঞেস করতে পারে সিবিআই।
যদিও সিবিআই মনে করছে শুধুমাত্র এই বিদ্যুৎ নয়, আরও অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত। সিবিআইয়ের ধারণা, গরু পাচারের যে টাকা অনুব্রত মণ্ডল পেতেন তা যেত অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের পকেটে। আগামী দিনে তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তবে তালিকা মোটেই ছোট হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এই তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনিতেই সিবিআইয়ের তরফে যে চার্জশিট গত সপ্তাহে পেশ করা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে গোরু পাচারের অনুদানবাবদ মোটা টাকা পেতেন অনুব্রত। এমনকি অনুব্রতর হয়ে এই চক্র চালাত তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷ রাজ্য পুলিশ থেকে নিযুক্ত সায়গলের সঙ্গে গোরু পাচার মামলার অপর অভিযুক্ত এনামুলের কথোপকথন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টির শিকড়ে পৌঁছাতে খুব শীঘ্রই সিবিআই বোলপুরে ফের অভিযান শুরু করছে ।