নিউজ ডেস্ক: ফতোয়া পেয়েই পরপর পদত্যাগ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের। কারণ উপাচার্য পদে নেওয়া হয়েছে এমন একজনকে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। বিএ পাশ এই যুবকের আসল যোগ্যতা অবস্য তালিবান ঘনিষ্ঠতা। সেই সুবাদে শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হল তাকে।
নতুন উপাচার্যের নাম মহম্মদ আশরাফ। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের খুন করার মত উস্কানিমূলক মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ জন কর্মী ও অধ্যাপক পদত্যাগ করেছেন। তবে সবারই জীবন চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। কারণ ফতোয়া না মানলে কড়া শাস্তি হবে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সাজা তালিবান দেয়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বিএ পাশ মহম্মদ আশরাফ বাকি অধ্যাপকদের বিরাগভাজন হয়। তবে নীরব প্রতিবাদ হিসেবে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে মনোনীত এক পিএইচডি করা প্রার্থীকে জোর করে সরিয়ে সেই জায়গায় নিজেদের পছন্দের লোক বসিয়েছে তালিবান।
সম্প্রতি তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছিল, দেশে অত গবেষণার দরকার নেই। বেশি পড়ারও প্রয়োজন নেই। তবে এর পরে গত ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলের সময় থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় খুলতে নির্দেশ জারি হয়। কিন্তু মেয়েদের শিক্ষাদানের বিষয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তালিবান সরকার জানায় মেয়েদের দ্রুত বিদ্যালয়ে ফেরানো হবে।
তালিবান দখলের আগে আফগানিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু ছিল। নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীরা পাশাপাশি বসতেন এবং ছাত্রীদের কোন পোশাক সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলতে হতো না।
এর অবসান ঘটানোর কথা ঘোষণা করে তালিবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আবুল বাকি হাক্কানি বলেন, এই সরকার ছেলে ও মেয়ের সহশিক্ষা বন্ধ করায় কোনও সমস্যা দেখে না।