Nitish Kumar: পাটলিপুত্র থেকে আজই বিশেষ বার্তা দিল্লিতে, ফের নড়বড় করছেন নীতীশ

মঙ্গলে ফোকাসে পাটলিপুত্রের রাজনীতি। আজই হয়তো বিরাট কোনও বার্তা দিতে পারেন (Nitish Kumar) নীতীশ কুমার। যা বদলে দিতে পারে জাতীয় রাজনীতির চালচিত্র। গত কয়েক মাস…

মঙ্গলে ফোকাসে পাটলিপুত্রের রাজনীতি। আজই হয়তো বিরাট কোনও বার্তা দিতে পারেন (Nitish Kumar) নীতীশ কুমার। যা বদলে দিতে পারে জাতীয় রাজনীতির চালচিত্র। গত কয়েক মাস ধরে বিজেপি ও জেডিইউ সম্পর্কে যে চিড় ধরেছিল তা আজ ফাটলে পরিণত হয়েছে। তাই সকলেই তাকিয়ে নীতীশ কুমারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিকে।

দীর্ঘ সময় ধরে এনডিএর শরিক ছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক পদক্ষেপকে মোটেই সমর্থন করতেন না তিনি। তাই যখন প্রধানমন্ত্রী পদে যখন নরেন্দ্র মোদীকে বেছে নেওয়া হয়, তখন থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তিনি। এমনকি ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ধরেন লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির হাত। কিন্তু সেটা অবশ্য বেশি দিন টেকেনি।

   

২০১৭ সালে ফের বিজেপির সঙ্গে জোট করলেন নীতীশ৷ ২০১৯ সালে নীতীশ কুমারের দলের জন্য কেবিনেটে মাত্র একটি জায়গা বরাদ্দ করে বিজেপি। তখন থেকেই নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালে নির্বাচনেও বিজেপি হাত ধরেই নামেন বিধানসভা নির্বাচনে।

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আসন সংখ্যা বেড়ে যায়৷ বিহারে প্রধান শাসক দল হিসাবে তকমা পাওয়ার জন্য পদ্ম শিবিরের নেতারা বিশেষ ভাবে জোর দিতে শুরু করে৷ এমনকি পূর্ব ঘোষণা অনুসারে নীতীশজি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেই নীতি থেকে সরে আসছে বিহার বিজেপি। ফলে দূরত্ব বাড়ছে।

এরপর একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে শুরু করেন নীতীশ৷ তিনি কি এবার সম্পর্কের অবসান ঘটাবেন? ফের বিহার সরকারের বদল আনবেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

সরকার বাঁচাতে নীতীশকে ফোন করেছেন অমিত শাহ৷ সূত্রের খবর, দুই পক্ষের দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়েছে। শুধুমাত্র অমিত শাহ নয়৷ নীতীশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

গত কয়েক মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বৈঠকে দেখা যায়নি নীতীশকে৷ এমনকি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় অনুপস্থিত ছিলেন নীতীশ৷ সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও যাননি নীতীশ কুমার৷ সেখানে গোটা বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার। নীতীশের রণনীতি দেখার জন্য ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ করছে বিজেপি। দলের কোনও নেতাকে এখনই মুখ খুলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷