মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে এমন বার্তা এসেছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে জাওয়াহিরিকে নিকেশ করা হয় রবিবার।
বিবিসির খবর, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরি খতম হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ড্রোন অভিযানের বিস্তারিত আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানাবেন।
তাৎপর্যপূর্ণ, তালিবান জঙ্গিদের হাতে ক্ষমতা তুলে চলে আসার পর আফগানিস্তানের মাটিতে এই প্রথম হামলা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিকেশ করে মার্কিন নৌ কমান্ডোরা। এর পর আল কায়েদার প্রধান হয় জাওয়াহিরি। রবিববার আফগান রাজধানী কাবুলে জাওয়াহিরির গোপন আস্তানায় সিআইএ ড্রোন হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই জঙ্গি নেতা আর বেঁচে নেই। আমরা কখনও হারিনি।
বিবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধংস, পেন্টাগনে হামলা করেছিল আল কায়েদা। সেই হামলার পর আফগানিস্তানে ঢুকেছিল মার্কিন সেনা। ২০২১ সালে আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ তালিবান জঙ্গিদের হাতে ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা তুলে দিয়ে সরে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় এলেও তালিবান জঙ্গিদের সরকার চরম সংকটে। তাদের পাশে কোনও দেশ নেই। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মাঝে কাবুলে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তালিবান এই হামলার পথ খুলে দিল।
ধুঁকতে থাকা তালিবান জঙ্গিদের তরফে এই উপহার! প্রশ্ন উঠছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সিআইএ সংস্থার। কাবুলেই আল কায়েদা জঙ্গি প্রধান জাওয়াহিরির অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর হামলার সবুজ সংকেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি জানান, আল কায়েদা সংগঠনের উপর এটা দ্বিতীয় সর্বাধিক বড় আঘাত। এর আগে লাদেনকে খতম করা হয়।
২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন ও পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আল কায়েদা। সেই জঙ্গি হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সিআইএ এই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে মিশরীয় চিকিৎসক জাওয়াহিরিকে। সে ছিল ওসামা বিন লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা।