সিঁদুর খেলা ও ধুনুচি নাচে মেতেছেন পরিচালক ও নায়িকা। অকাল বিসর্জনে সামিল দিতিপ্রিয়া রায়, পাভেল, সৌরভ দাস, কিরণ দত্ত ও শতাব্দী চক্রবর্তী। পাভেলের আগামী ছবি কলকাতা চলন্তিকা। ধুনুচি নাচে, ঢাকের তালে, সিঁদুরে রাঙা পুরো টিম। আসলে এই সবটাই ছবির প্রচারের অংশ। কলকাতার বুকে অকাল বিসর্জনের সামিল ‘চলন্তিকা’ টিম। এদিনিই ঘোষনা হয় আগামী ৩০ শে জুলাই মুক্তি পাবে ছবির ট্রেলার।
অকাল বোধনের কথা তো সকলেরই জানা, এবার কলকাতার বুকে অকাল বিসর্জন। সেই অকাল বিসর্জনে সিঁদুর খেলা ও ধুনুচি নাচে মেতেছেন পরিচালক পাভেল। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে অকাল বিসর্জনে সামিল দিতিপ্রিয়া রায়, সৌরভ দাস, কিরণ দত্ত ও শতাব্দী চক্রবর্তী। আসলে এই সবটাই একটি ছবির প্রচারের অংশ। পাভেলের আগামী ছবি কলকাতা চলন্তিকা। সেই ছবিতেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সৌরভ, দিতিপ্রিয়া, কিরণ ও শতাব্দীকে। ধুনুচি নাচে, ঢাকের তালে, সিঁদুরে রাঙা পুরো টিম।
এই চার অভিনেতা ছাড়াও ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ইশা সাহা, রজতাভ দত্ত, অপরজিতা আঢ্য, অনির্বান চক্রবর্তী, খরাজ মুখার্জী। পরিচালক পাভেল বলেন ‘এই গল্পটা শহর কলকাতার তিন দিনের জীবন। প্রথম দিন সে নিজের ছন্দে ছুটে চলে বিভিন্ন অলি গলি পথে, দ্বিতীয় দিনে তার পথে ভেঙে পড়ে একটা ফ্লাই ওভার। সব ওলট পালট হয়ে যায়। তৃতীয় দিনে সে আবার ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে।
সালটা ২০১৬। রোজকার ছন্দে ব্যস্ত শহর কলকাতা। হঠাৎ ছন্দপতন। ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। চারিদিকে আর্তনাদ, চিৎকার.. সেই দিনের ক্ষত আজও দগদগে শহর কলকাতার বুকে। টিভির পর্দায় যে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিল তিলোত্তমা, ৬ বছর পেরিয়ে কেমন আছে সেই জায়গা, কেমন আছে কলকাতা? এখনও কি সে আগের মতোই ‘চলন্তিকা’? এই বিষয়বস্তু নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবিটি।
তিন দিনের গল্প উঠে আসবে ছবিতে। বাবা ভূতনাথ এন্টারটেনমেন্টের ছাতার নীচে শতদ্রু চক্রবর্তী প্রযোজিত ‘কলকাতা চলন্তিকা’-র গল্প লিখেছেন পাভেল এবং অধ্যাপক স্বাতী বিশ্বাস।