রাজ্য জুড়ে তৃ়ণমূল কংগ্রেসে (TMC) রসগোল্লা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই বাম সমর্থকরা তৃ়ণমূল নেতা কর্মীদের কটাক্ষ করে রসগোল্লা ভর্তি হাঁড়ি পাঠাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। এদিকে জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন, দুঁদে আইনজীবী ও সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য যদি কি ১৫ দিন পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন? এ বিষয়ে এখনই কিছু স্পষ্ট করেননি বিকাশবাবু।
ঘটনার সূত্রপাত ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকে। মামলার জেরে আটকে আছে নিয়োগ এই দাবি করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএমের বিকাশবাবু সাধুপুরুষ, ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না। ওঁর আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন? আদৌ তারা সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য ? ফাইলটা দেখাবেন, নাকি আমি দেখাব?
সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সরাসরি আক্রমণ করেন মমতা। এর পরেই বিকাশরঞ্জন কটাক্ষ করে বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বার্থ সাটিফিকেট সংক্রান্ত দুর্নীতির ফাইল দেখাক। দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাঁড়ি রসগোল্লা খাওয়াবো, আর দেখাতে না পারলে উনি পাগলা গারদে বসবাস করুন।
বিকাশবাবু কটাক্ষ করে বললেও তাঁর মন্তব্য কি নিছক সরস নাকি এর পিছনে কোনও আইনি মারপ্যাঁচ আছে তা নিয়ে চর্চা। বিভিন্ন জেলার আইনজীবী তৃণমূল নেতা ও সমর্থকদের আশঙ্কা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য হাল্কা কথার লোক নন। তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কিছু তৃণমূল নেতার স্পষ্ট দাবি, নেত্রী মমতা সরাসরি বিকাশরঞ্জনকে ঘাঁটিয়ে ঠিক করেননি। কারণ তিনি কঠিন আইনজীবী।
পড়ুন: SSC Scam: ইডি হানায় ‘বুকে যন্ত্রণা’, ‘পেট ফেঁপে’ গেল মন্ত্রী পার্থর
এর আগে পূর্ব বর্ধমানে সফরে এসে বর্ধমানে সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি প্রার্থীদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আপনাদের সিপিএমের আইনজীবীদের বলুন। বিকাশ বাবুদের গিয়ে বলুন। আপনার তো টাকার অভাব নেই। আপনি কেস করে ছেলেমেয়েদের চাকরি বন্ধ করে দিলেন। আপনি যেমন চাকরি বন্ধ করেছেন, আপনিই আবার চাকরি চালু করবেন। এটা আপনাকে করতেই হবে। মমতা আরও বলেন, আমি তো কোর্টের অর্ডারই মানব ভাই। আপনারা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলুন। ১৭ হাজার চাকরি রেডি।
এরপর বিকাশবাবু বলেন, সাহস থাকলে পদত্যাগ করুন। দু ঘণ্টার মধ্যে চাকরি দেব। তাঁর এমন মন্তব্যের জেরে তুমুল আলোড়ন পড়ে।
এবার মমতার অভিযোগের জবাবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ১৫ দিনের মধ্যে প্রমাণ দিতে বলেছেন।