রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের বিধায়কদের ভোট যাতে না বাইরে যায়, সেই দায়িত্ব ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। আগের দিন থেকেই নিউটাউনের হোটেলে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে তাঁবু গেড়েছিলেন। সকাল বেলাতেই দায়িত্ব মেনে বিধানসভায় শেষ অবধি উপস্থিত থাকলেন৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোটের ফলাফলে বাজিমাত করে ফেলেছেন৷ ৬৯ এর জায়গায় ভোট পড়েছে ৭১।
বৃ্হস্পতিবার ট্যুইট করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, আমার কেন্দ্রের নেতাদের কাছে আশ্বস্ত করেছিলাম ৭০ টি ভোট এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে পড়বেই। কিন্তু ৭১ টি ভোট পড়েছে। তৃণমূলের ৪ টি ভোট বাতিলের পরেও সমর্থন দ্রৌপদী মুর্মুকেই করেছেন কোন সদস্য একথা জানান শুভেন্দু। পরের ট্যুইটে শুভেন্দু বলেন, যে ৩৪ জন তৃণমূলের সাংসদ ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ২ জনের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে পড়েছে। বাকি দুই জনের ভোট বাতিল হয়েছে। চার সাংসদদের গেরুয়া অভিনন্দন জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
As promised by me all 70 @BJP4Bengal MLAs voted in favour of Smt. Draupadi Murmu ji.
While 1 @AITCofficial MLA cross voted in favour of the President Elect, 4 TMC MLAs ensured that their votes were regarded invalid !
71 votes were polled in favour of Smt. Murmu ji in WB Assembly: pic.twitter.com/QDwIy2LKkB— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 21, 2022
বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি৷ এর মধ্যে ৭ জন দলবদল করেছে। অলিখিত হলেও অর্জুন পুত্র পবন সিংকে তৃণমূলের ধরে নিয়েছেন বিজেপি নেতারাই৷ তাহলে ৭১ টি ভোট এল কোথা থেকে? তৃণমূল শিবিরে এই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেছে। তবে কী নতুন করে দলবদলের সম্ভাবনা?
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিং করলেও সেখানে দলের তরফে হুইপ থাকে না। সেকারণেই তৃণমূলের ভোটের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা৷ এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী , দিলীপ ঘোষ ও মনোজ টিগ্গা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷ তাঁদের আবেদনেই সাড়া মিলল।
১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধীদের তরফে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করা হয়েছিল৷ মহিলা, আদিবাসী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রীকে সমর্থনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন বিরোধী শিবিরের একাধিক দল৷ তাই তৃণমূলের ভোট সুনিশ্চিত করতে আগে থেকে তোরজোড় করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। রেকর্ড ভোটের দাবি করেও এখন দলের অন্দরেই ক্রশ ভোটিং তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।