সকালে লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। এর পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। আর বেলা গড়াতে অ-বিজেপি জোটের তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন
(Yashwant Sinha) যশবন্ত সিনহা।
বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস করে এখন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে যশবন্ত সিনহা একসময় সাউথ ব্লকে কর্মরত দুঁদে আমলা যশবন্ত সিনহার ওপর বিশেষ নজর গিয়েছিল লালকৃষ্ণ আদবানি ও অটল বিহারী বাজপেয়ীদের। বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে এসে সামলেছেন বাজপেয়ী আমলের অর্থ ও বিদেশ মন্ত্রকের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ।
বাজপেয়ী জমানায় বিজেপি জোট শরিক তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে যশবন্ত সিনহার। পরে মোদী জমানায় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাদের কোণঠাসা শুরু হয়। মোদী রাজনীতির বাইরে গিয়ে থেকে যশবন্ত সিনহা অন্তরালে থেকেছেন দীর্ঘ সময়।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের সময় যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তারপর থেকেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে বিরোধী রাজনীতির রুটম্যাপ তৈরি করেছিলেন তিনি।
সদ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হতেই যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে আলোচনা গড়িয়েছিল। কিন্তু শরদ পাওয়ারের পর বিকল্পদের তালিকায় গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লাহদের নিয়ে আলোচনা হয়। প্রকাশ্যে শিবসেনা জানিয়ে দিল দুই প্রার্থী শাসক শিবিরের সামনে আরও দুর্বল। এরপর ফারুক আবদুল্লাহ ও গোপালকৃষ্ণ গান্ধী সরে যেতেই যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে এবিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল সমস্ত বিরোধীরা।