ফলাফলটা অনুমেয়ই ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু আনুষ্ঠিকতার। এদিন তাও সাঙ্গো হল। শুক্রবার সরকারি ভাবে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে পা রাখল বাংলা (Bengal Ranji Trophy)।
তবে বাকি তিনটি দল যেমন নিজেদের ম্যাচ জিতে শেষ চারে উঠেছে, বাংলার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ড্র করে সেমিতে উঠল বাংলা। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে। আসলে প্রথম ইনিংসে ৭৭৩ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলার পরই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলার। ঝাড়খণ্ডকে ২৯৮ রানে অল আউট করে দিলেও ফলো-অন দেননি অরুণ লালের দল।
এর পিছনে দুটি কারণ ছিল। এক, ব্যাটিং অনুশীলন। আর দ্বিতীয় কারণটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বোলিং বা ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ক্লান্তিও গ্রাস করে। তাই সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের আগে সেসব ইস্যুতে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলার টিম ম্যানজেমেন্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিনে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তুলল বাংলা। প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছিলেন মনোজ তিওয়ারি। এবার কিন্তু আর সেই ভুল করলেন না মন্ত্রীমশাই। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই মাঠ ছাড়লেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৮৫ বলে ১৩৬ রান করেন মনোজ। অনুষ্টুপের অবদান ৩৮। অভিষেক পোড়েল করেন ৩৪ রান। শাহবাজ আহমেদও ব্যাট হাতে ৪৬ রানের অবদান রাখেন। শাহবাজ আউট হতেই আপাতদৃষ্টিতে নির্ভেজাল ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ঝাড়খণ্ডের হয়ে একাই পাঁচটি উইকেট দখল করেছেন শাহবাজ নাদিম। আগামী ১৪ জুন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ফাইনালের ওঠার যুদ্ধে নামবে গতবারের ফাইনালিস্ট বঙ্গ ব্রিগেড।