নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা (Taliban)। দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। তাতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানের ইসলামীয় ধর্ম সংগঠনগুলি। গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে কট্টরপন্থীরা। তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালনও করা হয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে।
আরও পড়ুনস্বচ্ছ আফগানিস্তান! তালিবান জঙ্গি মেয়র ঝাঁট দিচ্ছে!
আরও পড়ুনBRICS: জিনপিংয়ের উপস্থিতিতেই আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ মোদী-পুতিনের
নিজেদের শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান-চিনকে আগাম আমন্ত্রন জানিয়ে রেখেছে তালিবানরাও। এবার তাদের গলাতেই শোনা গেল উলটো সুর। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাকি তালিবানের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পিছনে দায়ী পাকিস্তানই। শুক্রবার নেটমাধ্যমে ফাঁস হল এমনই একটি অডিয়ো। যদিও এর আগেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে শোনা গিয়েছিল সরকার গঠন নিয়ে তালিবান ও পাকিস্তানের সম্পর্কে চিড় ধরেছে।

ফাঁস হওয়া ওই অডিয়ো বার্তায় যাঁর গলা শোনা গিয়েছে, তিনি নয়া আফগান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ফাজেল বলে দাবি করেছে বহু সংবাদমাধ্যম। কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে লিখেছেন, তালিবান পাকিস্তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ নর্দান অ্যালায়েন্সের নেতৃত্বাধীন পঞ্জশিরের দখল পেতেও তালিবানদের সাহায্য করেছে পাকিস্তানি সেনা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ ফায়েজের তদারকিতে কয়েক হাজার পাক সেনা পঞ্জশিরে মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে তালিবানকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুনতালিবানদের পঞ্জশির দখলের নেপথ্যে কি পাক বাহিনী?
এর আগে একাধিক নিহত তালিবানি যোদ্ধার কাছ থেকে পাকিস্তানি সেনার পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছিল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। পাকিস্তানি সেনার ‘নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি’ (এনএলআই) এবং এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ (এসএসজি) কমান্ডোরাই তালিবানিদের হয়ে লড়ছেন বলে জানিয়েছে বহু সংবাদমাধ্যাম। একই অভিযোগ করেছন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদও। অন্যদিকে সেই তালিবান নেতার গলাতেই পাকিস্তান বিরোধী সুর শোনা যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।